আমিন ইকবাল
কথা যত কম বলা যায়; ততই মঙ্গল। যে বেশি কথা বলে, তার বিপদও হয় বেশি। হাদিসে আছেÑ ‘যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।’ অন্য হাদিসে নবীজি সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত ভালো কথা হলে বলবে, অন্যথায় চুপ থাকবে।’
নবীজি আরও বলেন, ‘মুমিন জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো তারা অল্প কথা বলবে, বিনা প্রয়োজনে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে। হাসি মুখে থাকবে এবং প্রয়োজনে সদালাপ করবে।’
যারা বেশি কথা বলেন, তারা বুঝতেই পারেন না যেÑ বেশি কথা বলছেন। অনেক সময় বেশি কথা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা কম কথা বলেন তারা অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। এর অর্থ হচ্ছে যারা বেশি কথা বলেন, তারা নিজেকে কম বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করছেন।
তাই প্রতিটি সুস্থ্য বিবেকবান মানুষের উচিতÑ প্রয়োজনের বাইরে কথা না বলা। প্রয়োজনীয় কথা যেমনÑ ক. যা নেকি অর্জনের উদ্দেশ্যে বলা হয়। খ. যা গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য বলা হয়। গ. যা না বললে পার্থিব ক্ষতি হয়।
বেশি কথার দ্বারা মানুষ অনেক গোনাহেও লিপ্ত হয়। যেমন মিথ্যা বলা, গিবত করা, নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা, কাউকে অভিশাপ দেয়া, কারও সাথে অহেতুক তর্ক জুড়ে দেয়া, অতিরিক্ত হাসি ঠাট্টা করতে গিয়ে কাউকে কষ্টে দেয়া ইত্যাদি। এর বিপরিতে কম কথা বলার অভ্যাস থাকলে বহু পাপ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। তাই কথা যত কম বলা য়ায়, ততই মঙ্গল।
কম কথা বলা বা চুপ থাকার কিছু উপকারিতা :
১. চুপ থাকা পরিশ্রমবিহীন ইবাদত। ২. চুপ থাকা রাজত্ববিহীন প্রভাব। ৩. চুপ থাকা প্রচারবিহীন দূর্গ।
৪. চুপ থাকা অস্ত্রবিহীন বিজয়। ৫. চুপ থাকা কিরামন কাতিবীনকে (কাধের দুই ফেরেশতা) অবসর দেয়া। ৬. চুপ থাকা মুত্তাকিগণের নিদর্শন। ৭. চুপ থাকা জ্ঞানের ভান্ডার। ৮. চুপ থাকা অজ্ঞদের প্রতিউত্তর। ৯. চুপ থাকা দোষ-ত্রুটির আচ্ছাদন। ১০. চুপ থাকা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। লেখক: গণমাধ্যম কর্মীা