তাহমিনা রহমান
ঘুম আল্লাহর বড় নেয়ামত। স্বাভাবিক জীবন-যাপন ও প্রশান্তি অর্জনের জন্য ঘুম অপরিহার্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী।’ [সুরা আন-নাবা : আয়াত-৯] রাত গভীর হলে আমরা ঘুমের ঘরে হারিয়ে যাই। দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকি অচেতন হয়ে। আমাদের কারও ঘুম তৃপ্তিদায়ক হয়; কারও হয় না। হাদিসে বর্ণিত কিছু আমল আছেÑ যা পালন করলে ঘুমে তৃপ্তি আসে; আবার সওয়াবও পাওয়া যায়। আমলগুলো হলোÑ ১. শোয়ার আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়া, ২. ডান পাশ হয়ে শোয়া, ৩. অতঃপর এই দোয়া পড়া- ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমি মৃত্যুবরণ করছি এবং তোমারই অনুগ্রহে জীবিত হব।’ [সহিহ বুখারি]
একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, ‘হে অমুক, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন নামাজের ন্যায় অযু করবে। তারপর তোমার ডান পার্শ্বের ওপরে শুবে এবং উক্ত দোয়া পড়বে। তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি সেই রাতে মৃত্যু বরণ কর, তবে তুমি ইসলামের ওপর মৃত্যু বরণ করবে আর যদি তুমি ভোরে ওঠ, তবে তুমি কল্যাণের সঙ্গে ওঠবে।
এছাড়াও রাতে ঘুমাবার সময় কোনো বান্দা যদি আয়াতুল কুসরি পাঠ করে তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয় এবং শয়তান তার নিকট আসতে পারে না এবং তার কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। রাসুল (সা.) রাতে ঘুমানোর সময় সুরা ইখলাছ, সুরা ফালাক্ব, সুরা নাস পড়তেন। [সহিহ বুখারি ও মুসলিম]
তিরমিজি শরিফে আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত ফাতেমা (রা.) কে রাতে শোয়ার সময় ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়তে বলেছিলেন। লেখক: আলেমা