মাওলানা রফিকুল ইসলাম
জীবনে চলতে-ফিরতে আমরা কত কি-ই না বলে থাকি। ভালো-মন্দ সব কিছুই উচ্চারিত হয় আমাদের মুখে। অথচ একটু লক্ষ্য করলেই অর্জিত হয় হাজারো সওয়াব। স্থান-কাল বুঝে কয়েকটি শব্দ উচ্চারণেই হাসিল হয় অমূল্য সম্পত। নিচে ১৫টি পয়েন্টে এমন কিছু সুন্নতের কথা আলোচনা করা হলোÑ যা দু’একটি শব্দ বলেই আদায় করা যায়।
১. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোনো কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোনো কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা সুন্নত। [বুখারি : ৫৩৭৬]
২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোনো শুভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করলেÑ তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [ইবনে মাজাহ : ৩৮০৫]
৩. কারো হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ বলা সুন্নত। [তিরমিজি : ২৭৪১]
৪. কোনো হাঁচি দাতা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলেÑ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৬২২৪]
৫. আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোনো কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৬২১৮]
৬. স্বাভাবিকের মধ্যে কোনো ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরনের কোনো কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৬২১৮]
৭. ভালো যে কোনো কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম : ৩৫০৮]
৮. ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছা করলে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [আল কাহাফ : ২৩-২৪]
৯. কোনো বাজে কথা শুনলে ‘নাউজুবিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৬৩৬২]
১০. কোনো বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোনো খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোনো কষ্ট পেলে ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম : ২১২৬]
১১. কথা প্রসঙ্গে কোনো গুনাহের কথা বলে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা সুন্নত। [সুরা মুহাম্মদ : ১৯]
১২. উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ২৯৯৩]
১৩. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোনো বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আ’লাম’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৫৫৭০]
১৪. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৩৩৬]
১৫. কোনো বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [বুখারি : ৬১০]