দ্রৌপদীর মতে সুখী বিবাহিত জীবনের রহস্য
ডেস্ক রিপোর্ট: তিনি পঞ্চপ্রিয়া। পাঁচ স্বামীর সুখ-দুঃখকে তিনি সামলাতে জানতেন। তার উপরে তিনি কৃষ্ণের সখী। পুরুষোত্তমের সাহচর্যও তাকে ঋদ্ধ করেছিল উপলব্ধিতে।
কোথায় লুকিয়ে রয়েছে দাম্পত্য সুখ? ‘মহাভারত’ কেবল মাত্র রণ-রক্ত-সফলতার কাব্য নয়। এই মহাকাব্যের পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে সামাজিক ও সাংসারিক উপদেশ। মানুষের সুখ-দুঃখের খতিয়ান মহাভারত-এর পাতায় পাতায়। যে কোনো চরিত্রই তার বহির্জগতের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছেন অন্তর্জগৎকেও। তাই মহাভারত এদেশের অন্যতম প্রধান পথপ্রদর্শক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
বনপর্বে এক জায়গায় দ্রৌপদী কৃষ্ণের পতœী সত্যভামাকে জানান, সুখী বিবাহিত জীবনের রহস্য। কী বলেছিলেন তিনি? পাঞ্চালীর মতে, সাংসারিক সুখের চাবিকাঠি নারীর হাতেই থাকে। সুতরাং নারী যদি চায়, তবেই সংসার তথা দাম্পত্য সুখের হতে পারে। পাঞ্চালীর মতে, কোনো নারীই তার স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার উচিত, স্বামীকে তার স্বভাবের উপরেই ছেড়ে রাখা। যদি স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সে তুকতাকের আশ্রয় নেয়, তবে ফল ভালো হবে না। একজন বুদ্ধিসম্পন্না নারী তার স্বামীর পরিবার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নখদর্পণে রাখেন। সেই সঙ্গে স্বামীর বন্ধু ও দূর আত্মীয়দের সংবাদও তার গোচরে থাকে। যেসব নারী ছলনাময়ী এবং মিথ্যাচারী, তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এরা পুরুষের ক্ষতি করেন ঠিকই, তবে তার আগে ক্ষতি করেন অন্য নারীর। নারীর অন্যতম কর্তব্যই হলো সকলের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।