গণমাধ্যমকে ফেসবুকে সোহেল তাজ কোনো পদ চাইনি এবং আশাও করিনি
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আলোচনা কেন্দ্রেই রয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তাকে ঘিরে আগ্রহের সব অবসান ঘটাতে তাজ নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, আমি কোনো পদ কারো কাছে চাইনি এবং আশাও করিনি, কারণ বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।
গত বৃহস্পতিবার সোহেল তাজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান দেন তিনি পদের জন্য কাউন্সিলে যোগ দেননি। তিনি লিখেছেন, আপনাদের মন্তব্য এবং গণমাধ্যমের কিছু সংবাদ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেকের ধারণা সদ্য অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে আমাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হবে। এই বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর খবরও প্রকাশিত হয়েছে এবং এও প্রচারিত হয়েছে যে, আমি দেশে ফিরেছি কাউন্সিলের কারণে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব ধারণা সঠিক নয়। আমি কোনো পদ কারো কাছে চাইনি এবং আশাও করিনি, কারণ বর্তমানে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় নই।
সদ্য সমাপ্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে গত একমাস ধরেই কমিটিতে বড় পদে সোহেল তাজের নির্বাচিত হওয়ার গুঞ্জন ছিলো উল্লেখযোগ্য। এরপর গত ১৯ অক্টোবর সোহেল তাজ দেশে ফিরলে এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয় এবং দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আলোচনার কেন্দ্রে সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশাপাশি সোহেল তাজের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি স্থান পায়। এরপর ২২ অক্টোবর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পুরো সময়টাতে মঞ্চে ছিলেন। এসময় সমাবেশ স্থলে অনেকে তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে তাজের নামও বলেন। ফলে তাজকে নিয়ে আলোচনা সরব ছিলো। কিন্তু সব জল্পনাই রয়ে গেলো, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে কেন পদ পায়নি তা নিয়ে নতুন করেও আবার আলোচনার মধ্যেই রয়েছে সোহেল তাজের নাম। গণমাধ্যমেও এনিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশ হচ্ছে।
সোহেল তাজের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দেশে আসার পর থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তার মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু কমিটিতে থাকা না থাকা নিয়ে মিডিয়ার খবরে বিব্রত তাজ তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন।
তিনি আরও কিছুদিন বাংলাদেশে থাকবেন। তাজউদ্দিন ফাউন্ডেশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর সম্মেলনের নতুন কমিটিকেও তাজ ফেসবুকের মাধ্যমেই অভিনন্দন জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নের দিকে এই দেশ এগিয়ে যাবে এবং যে যেখানে আছে সেখান থেকেই দেশ গড়ার কাজে অবদান রাখবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম