কল্যাণপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ যুব ফেলোশিপ
ম্যাক্ডোনাল্ড মিঠুন বৈরাগী
যীশু খ্রিস্টের শেষ আদেশ তোমরা সমুদয় জগতে যাও এবং পিতা পুত্র পবিত্র আতœার’ নামে লোক দিগকে আমার শিষ্য কর এই বাণীতে অনুপ্রানিত হয়ে ২০০০ সালে কল্যাণপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ যুব ফেলোশীপ পুনরায় সংগঠিত হয়। এর আগেও যুব ফেলোশীপ ছিল কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যায় এবং কোন নথি না থাকার কারণে ২০০০ সালকেই আমাদের যুব সমিতির গঠন হিসেবে ধরে নেই এবং ২০০০ সালেই আমরা বিবিসিওয়াইএফ এবং ডিডিবিসিওয়াইএফ এর দক্ষিণ হস্ত নেওয়ার মাধ্যমে যুব ফেলোশীপ হিসেবে আতœপ্রকাশ করি। ২০০২ সালে আমরা পূর্ণ কমিটি পাই, যে কমিটির সভাপতি ছিলেন আইজ্যাক বিনি দত্ত এবং সম্পাদক ছিলেন টমাস রিপন গুদা। আমাদের মূল সুর “তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করতে দিও না ”এই মূল সুরকে নিয়েই আমরা মন্ডলী এবং সমাজে প্রভুর রাজ্য বিস্তারের কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের যুব ফেলোশীপের অনেক কার্যক্রম রয়েছে যার মধ্যে আমাদের কয়ার দল অন্যতম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছোট পরিসরে আমাদের কয়ার দল ছিল। ন্যান্সি শুক্লা বাড়ৈ, তুষার কীর্তনীয়া, সাইমন পুলক মুন্সী, ফেন্সি মেঘলা বাড়ৈ, জন প্রতিক সাহা, জেমস্ নোয়েল বাড়ৈ এর কয়ারকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৮ সালে আমরা প্রথম আমাদের কয়ারের দায়িত্ব একজন কয়ার লীডারের হাতে দেওয়ার চিন্তাভাবনা নেই এবং তখন প্রথম কয়ার লীডার ছিলেন আমাদের ভাই সাইমন পুলক মুন্সী। আমরা আমাদের মন্ডলীর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ তারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে আমাদের পালক রেভা. সুভাষ চক্রবর্তী তার কাছে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
২০০৭ সালে আমরা আমাদের কয়ার নিয়ে প্রথম মন্ডলীর বাইরে যাই প্রভুর প্রশংসার উদ্দেশ্যে সিবিসিবি সেন্টারে ইন্মানুয়েল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ইয়োথ ফেলোশীপ এর মিউজিক্যাল ইভিনিংয়ে তখন কয়ার এর নেতৃত্ব দেন জেমস্ নোয়েল বাড়ৈ। আমরা ম্যাথিউ ছোটন মুন্সী এর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ কারন তিনি আমাদের কয়ারের জন্য অনেক গুলো নতুন গান লিখেছেন এবং সেটা শুর করা হয়েছিল ২০০৭ সালে সিবিসিবি প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
কল্যাণপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ যুব ফেলোশীপ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন, অনেক প্রতিযোগী এবং অন্যান্যদের কর্তৃক আয়োজিত প্রোগ্রামেও অংশ নিয়েছেন। আমাদের যুব ফেলোশীপ কর্তৃক উদ্ভাবন কার্ড ইভিনিং বা কীর্তন সন্ধ্যা যা ঢাকা কর্তৃক বাংলাদেশের খ্রিস্টিয়ান যুব প্রোগ্রাম গুলোতে এক ভিন্ন মাত্রা এবং নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছেন, যা আমাদের কয়ারের জন্য বড় প্রাপ্তি। ২০০৯ সালে প্রথম কীর্তন সন্ধ্যা আয়োজন করা হয় যখন যুব সমিতির দায়িত্বে ছিলেন সভাপতি হিসেবে জেমস্ নোয়েল বাড়ৈ, সম্পাদক হিসেবে জন প্রতিক সাহা এবং এই প্রোগ্রামের ক্যানভেনর ছিলেন সাইমন পুলক মুন্সী । পরপর ৭ বছর এই আয়োজন করতে প্রভু আমাদের সাহায্য করেছেন। বিশ্বাস করি এবছর ৮তম কীর্তন সন্ধ্যা আমরা করতে পারবো।
বর্তমানে আমাদের যুব ফেলোশীপের দায়িত্বে যারা রয়েছেন : সভাপতি: জেমস্ নোয়েল বাড়ৈ, সহ-সভাপতি: রিংকু সরকার, সম্পাদক: পপি বৈরাগী, সহ-সম্পাদক: জয় বাড়ৈ, যুগ্ম-কোষাধক্ষ্য: জেমস্ বাইন ও মার্ক হালদার, সাং¯িৃ‹তিক সম্পাদক: সাইমন পুলক মুন্সী, সদস্য: ফেন্সি মেঘলা বাড়ৈ, নিকোলাস বিশ্বাস, ডালিয়া চক্রবর্তী।