আলো ডি’রোজারিওকে ক্রস অব অনার পুরস্কার
১৯ আগষ্ট পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলী ও বিশ্ব মন্ডলীর জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কারিতাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড.বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিওকে ‘ক্রস অব অনার’ পুরস্কারে ভূষিত করেন। মন্ডলীর ভক্ত জনগণের জন্য সর্বোচ্চ এই সম্মাননা (স্বর্ণ পদক) লাভ করায় ডি’রোজারিও পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবর তেজগাঁও চার্চে মনোনীত কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, ভাতিকানের রাষ্ট্র দূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরী, বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ, সিএসসি, বিশপ জের্ভাস রোজারিও, বিশপ বিজয় ডি’ ক্রুজ, ওএমআই সহ খ্রিস্টান সমাজের গণ্যমান্য অতিথি সহপ্রায় দুইশত খ্রিস্টভক্ত এক ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে মিলিত হন। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলো ডি’রোজারিও পরিবার।
সকাল ১১টায় পবিত্র খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। খ্রিস্টযাগের পর বক্তব্য দেন আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিগণ এবং তারা ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও এর বর্ণাঢ্য কর্ম জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। সকলেই ড.আলোর মন্ডলীর প্রতি অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান।
কারিতাসের প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহীর ধর্মপাল বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন “আমি যতটুকু দেখেছি, ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও অত্যন্ত সহজ-সরল ও সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তাঁর মধ্যে কোন অহমিকা কাজ করেনি। তিনি তাঁর উপর অর্পিত কাজের প্রতি ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি একজন ডিসিপ্লিনড মানুষ”।
বাংলাদেশ ক্যাথলিক মন্ডলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান কারিতাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও। তিনি বলেন, “আমি ক্যাথলিক মন্ডলীর বিভিন্ন ধর্মগুরু, পিতামাতা ও শিক্ষকগণ সহ অনেকের নিকট থেকে শিখেছি এবং সেভাবে আমার জীবনটাকে গড়ার চেষ্টা করেছি। আমি আপনাদেরই হাতে গড়া সন্তান এবং আপনাদের জানাই কৃতজ্ঞতা”।
সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞতা জানান বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও এর স্ত্রী শিউলী পালমা। তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে মিসেস পালমা সম্পাদিত একটি স্মরণীকা “আলোকিত”এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়, সেখানে মূলত ডি’রোজারিও পরিবারের সদস্য, ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও এর বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের লেখা স্থান পায়।