কামরুল আহসান: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র নয় দিন বাকি। ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন। এর মধ্যে হিলারির নতুন একটি ই-মেইল নিয়ে আবার ঝড় শুরু হয়েছে। নতুন কিছু ই-মেইল নিয়ে তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা হচ্ছে।
হিলারির সহকারী হুমা আবেদিনের প্রাক্তন স্বামী এন্থনী উইনার। মাস দুয়েক আগেই তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এফবিআই দাবী করছে, হিলারির ই-মেইল সার্ভার থেকে এন্থনী এবং হুমা ব্যত্তিগত ই-মেইল আদান-প্রদান করেছে। যাতে যৌন সুড়সুড়িমূলক বক্তব্য ছিল এবং এন্থনীর ই-মেইল থেকে নর্থ ক্যারোলিনার পনেরো বছরের একটি মেয়েকে যৌন হয়রানিমূলক ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল।
হিলারি অবশ্য এ দাবী নাকচ করে দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন, এসবই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এফবিআই এসব কথার সত্যতা প্রমাণ করুক। আমেরিকার মানুষ খুব দ্রুত এর সত্যতা জানতে চায়।
হিলারির এ ই-মেইল বিতর্ক নতুন নয়। এফবিআই প্রধান জেমস কমি বলছেন, এটা আগের তদন্তেরই ধারাবাহিকতা। আগেরবার তাকে শুধু সাবধান করে দিয়ে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি মোটেও সচেতন নন। আগের মেইলগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু ছিল না। কিন্তু, এখন আরও সতর্কভাবে হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল আইডি থেকে যে মেইলগুলো আদান-প্রদান হয়েছে সেগুলোর তদন্ত হচ্ছে। এবার ব্যাপার আলাদা। এবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী। তার বিপক্ষ প্রার্থী আবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিদুষী লোক। যে কিনা হিলারির একটু সমালোচনার সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ট্রাম্প এই সুযোগে মাঠ গরম করছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি জনসভায় বলেছেন, এবার সুবিচার পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এফবিআইকে তিনি রাষ্ট্রের প্রধান দেশপ্রেমিক সংস্থা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ট্রাম্প এমনও বলেছেন, আর নির্বাচনের কী দরকার? হিলারিকে এ্যারেস্ট করে নির্বাচন বাতিল করে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হোক।
হিলারি অবশ্য বলেছেন, তিনি সারাজীবন দেশের জন্য কাজ করেছেন। জনগণ এসব অপ্রচার বিশ্বাস করবে না। এফবিআই আর কিছুই পাবে না। এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি