প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে চিকিৎসক সংকট ও অপ্রতুল ওষুধপত্রসহ নানা অনিয়মের কারণে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৮৫টি গাভী খামার, ৭১টি ছাগল খামার, ৫৭টি ভেড়া খামার, ১শ ৪৬টি মুরগীর খামার এবং ৪০টি হাঁসের খামার রয়েছে। এছাড়া আড়াই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাজারহাট উপজেলাবাসীর রয়েছে অসংখ্য গবাদি পশু। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার কেজি গাভীর দুধ উৎপাদন হয় এই উপজেলায়। রয়েছে দুধ সংগ্রহের জন্য তিনটি চিলিং সেন্টার। উপজেলা প্রাণী সম্পদের জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাসহ ১১টি পদে লোক কর্মরত থাকার কথা। এরমধ্যে অতি প্রয়োজনীয় একটি পদ হচ্ছে উপজেলা ভেটেনারী সার্জন। অথচ রাজারহাট উপজেলায় কোন ভেটেনারী সার্জন নেই। নেই উপজেলা প্রাণী সম্পদ সহকারী ও কম্পাউন্ডার। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা থাকলেও তিনি কোন প্রাণী চিকিৎসক নন, তিনি একজন কৃষিবিদ। এছাড়া সরকারী ভাবে অপ্রতুল ওষুধ বরাদ্দ রয়েছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে। ফলে উল্লেখিত খামার এবং খামারের বাইরের হাজার হাজার গবাদি পশুর সু-চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাধ্য হয়েই গবাদি পশুর কোন রোগ ব্যাধি দেখা দিলে খামারীরা সহ পশু মালিকরা সরণাপন্ন হচ্ছেন পল্লী পশু চিকিৎসকের নিকট। এই সুযোগে এক শ্রেণীর নাম সর্বস্ব অসাধু পল্লী পশু চিকিৎসক অপচিকিৎসা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । তাদের অপচিকিৎসায় অনেকের গবাদি পশু রোগ মুক্তির পরিবর্তে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে। রোববার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইদুর রহমান ভেটেনারী সার্জন ও অপ্রতুল ঔষুধের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। সম্পাদনা :তারেক