বীরেন্দ্র কিশোর, বরগুনা : যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় স্ত্রীর মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী আবুল হোসেন। শনিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে নিহত খাদিজাকে তার বাবার বাড়ি দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহত খাদিজার পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ৮ বছর আগে বরগুনা সদর উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের আবদুস সত্তার খানের ছেলে আবুল হোসেন সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবুল হোসেন বরগুনার উপকন্ঠে লাকুরতলায় একটি বাসাভাড়া থাকত। সেখানে আবুল হোসেন মাদকের ব্যবসা করত এবং ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য খাদিজাকে চাপ দেয়। অস্বীকার করায় আবুল হোসেন খাদিজাকে দিয়ে মাদক বিক্রি করতে বাধ্য করে।
নিহত খাদিজার আপন বোন সুরমা জানান, তার বোন যৌতুক না দেওয়ার কারনে তাকে দিয়ে খারাপ করিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তার বোনের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আবুল হোসেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আবুল হোসেন ও তার ৪-৫ জন সহযোগী খাদিজাকে হত্যা করার জন্য গলা টিপে ধরে। মুমূর্ষ অবস্থায় আবুল হোসেন খাদিজাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজাকে মৃত ঘোষণা করেন। সম্পাদনা : তারেক