বাংলাদেশ এখন নিরাপদ
মে. জে. আব্দুর রশীদ (অব.)
মাস কয়েক আগে এখানে গুলশানে একটি জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তাবাহিনী বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। এবং সেসব অভিযান সফলও হয়। এর ফলে জঙ্গি নতুন করে হামলা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতেও সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। ফলে ভবিষ্যতে জঙ্গি হামলার যে আশঙ্কা ছিল, আতঙ্ক ছিল সেটা জনগণ থেকে দূর হয়েছে। নব্য জেএমবি নামে যে সংগঠনটি একের পর এক হামলা করছিল বলে সবাই চিহ্নিত করেছে, সেটা কিছুটা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং উৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে এবং বাংলাদেশ অনেক নিরাপদ অবস্থানে আছে। আমরা জানি, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, সেক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ নিরাপত্তা পরিস্থিতি বা স্থিতিশীলতার বিপক্ষে কাজ করছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হওয়ার পরে ষড়যন্ত্র প্রয়াসটিও কমে এসেছে বা সুযোগ কমেছে। যার ফলে সব মিলিয়ে আমি বলব, বাংলাদেশ এখন নিরাপদ।
আমি মনে করি, জঙ্গিবাদের পিছনে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কাজ করে সেটি হচ্ছেÑ পৃষ্ঠপোষকতা। আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা। যারা জঙ্গিবাদের অর্থ জোগাচ্ছে, যারা তাদেরকে আদর্শ জোগাচ্ছে, কৌশল জোগাচ্ছে সেইসব ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করে যদি আইনের মুখোমুখি করা যায় সেটিই হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আরেকটি দিক হচ্ছে, যে ক্ষেত্র থেকে জঙ্গিরা তৈরি হয় সেটা হচ্ছে মৌলবাদ। এই মৌলবাদী চিন্তা, মৌলবাদী আদর্শকে সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে জঙ্গিবাদের জন্ম হচ্ছে। সেই মৌলবাদী মতদার্শ সম্প্রসারণের যে সুযোগগুলো বাংলাদেশে রয়েছে সেই সুযোগগুলো বন্ধ করতে হবে।
পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান