ফেসবুকে বাংলাদেশ…
কাজ করলে বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো কাউকে নিরাশ করেন না
আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব
দলের জন্য দুর্দিনে কেউ কাজ করলে বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো কাউকে নিরাশ করেন না। দুঃসময়ের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী এবারও মূল্যায়িত হয়েছেন। যাদের অনেকের অবদানের কথা দলের অন্য নেতারা ভুলে গিয়েছিল, কর্মীরাও হতাশ হয়ে ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভোলেননি একজন, ছেড়ে যাননি একজন, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনেক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা … এই জন্যই কর্মীরা আপনাকে জীবন দিয়ে ভালোবাসে। অভিনন্দন দেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে। অন্য রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার চেয়ে আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সদস্য হয়েও অনেক গৌরবের, অনেক গর্বের।
ততদিনই এটা অপরাধের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে
প্রভাষ আমিন, অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
দুই সেঞ্চুরি করে গত বিশ্বকাপের পুরোটা আলো নিজের দিকে টেনে নিলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আনসাং হিরো। সবসময়ই কোনো না কোনো তারকার আড়ালে পড়ে যায়। সাফল্য যেমন আড়ালে পড়ে যায়, তেমনি ব্যর্থতাও। রিয়াদের অন্তত তিনটি ব্যর্থতা রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছে রিয়াদের দায়িত্বহীনতায়। টি-২০ বিশ্বকাপে পরপর দুই বলে মুশফিক আর রিয়াদের দুই পাগুলে শট তো বাংলাদেশের ক্রিকেটের আক্ষেপ হয়ে থাকবে বহুদিন। তৃতীয় অপরাধটি করেছেন আজ। কোনো টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে ৪৭ রানে থাকা সেট ব্যাটসম্যান সুইপ শট খেলতে যায়, এমন কোনো উদাহরণ আমার স্মৃতিতে নেই। আগে কেউ করলেও অপরাধ, এখন তো বটেই, যতদিন টেস্ট ক্রিকেট টিকে থাকবে, ততদিনই এটা অপরাধের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সে কারণে আমার লড়াইটা চলবে
শরিফুল হাসান, সাংবাদিক
আজব সমস্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বিসিএস পদ্ধতি নিয়ে কথা বললেই ক্যাডার কিংবা ক্যাডার পরীক্ষার্থীদের গায়ে লাগে। আবার শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে ক্যাডার বা সাধারণ মানুষরা কথা বললে সেটা আবার মানতে পারেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আমি খুবই অবাক হই। আমাদের শিক্ষা, চাকরি ব্যবস্থা সবকিছুতেই যে একটা ভয়াবহ গলদ আছে, লাখো তরুণের যে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, বাধ্য হয়েই তারা সরকারি চাকরি বা বিসিএসের লড়াইয়ের নামে এই কথাগুলো একপক্ষ স্বীকার করলে আরেকপক্ষ স্বীকার করতে চান না। কেন রে ভাই? দেশটা তো আমাদের।
আমি খুব অবাক হয়ে দেখি যে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জ্ঞানী আর বিনয়ী হওয়ার কথা তদবির-তেলবাজি করে নিয়োগ পেয়ে তারা নিজেকে মনে করছেন মহাপ-িত। অবার যারা স্যকারের জ্ঞানী ক্ষমতাশালীদের দাপটে তারা অসহায়। এদিকে বিসিএস ক্যাডার কিংবা সরকারি কর্মচারী হয়ে যাদের হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের সেবক হওয়ার কথা, তারা নিজেকে ভাবেন রাষ্ট্রের প্রশাসক। যারা আজ বিসিএস ক্রেজে মাতোয়ারা এই তারাই যখন কাল চাকরিতে যোগ দিচ্ছে, তখন নানা ক্যাডারের বৈষম্য দেখে অহতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। যে সাংবাদিকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা সে একটু সুবিধা পেলেই চুপ হয়ে যাচ্ছে। কেন রে ভাই সত্য কথাটা স্বীকারে আপনাদের সমস্যাটা কোথায়?
সাংবাদিক হয়ে আমি তো সাংবাদিকদের সততা, সাংবাদিকতা পেশা এসবের গঠনমূলক সমালোচনা করি। কারণ আমি চাই, ভালো ছেলেমেয়েরা এই পেশায় আসুক। একইভাবে আমি চাই, এদেশের সেরা ছেলেমেয়েরা কোনো রকমের তদবির ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হোক। একইভাবে চাই, আমাদের তরুণরা লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবে। বিষয়গুলো নিয়ে যদি আলোচনা না হয় সমস্যার সমাধান হবে কীভাবে? আপনি শিক্ষক, সাংবাদিক, ক্যাডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক যাই হোন না কেন যদি কথাই না বলতে জানেন, যদি নাই জানেন আরেকজনকে কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয়, যদি নাই জানেন বিনয় কী জিনিস, মানবতা কী জিনিস, যদি আরেকজনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধই না থাকে তাহলে আপনি আসলে জীবনে কিছুই শিখেননি। মনে রাখবেন, যখনই আমি আপনি মনে করবেন, আপনিই শ্রেষ্ঠ তখনই বুঝবেন, আপনি একটা উন্মাদ নয়তো মূর্খ।
আমি যে স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই, সেই বাংলাদেশ গড়তে মূল ভূমিকা রাখতে পারেন তরুণরা। কাজেই আমাদের তরুণদের সব সমস্যার সমাধান করতেই হবে। সবাই বাস্তবতা স্বীকার করুন। আমি চাই আমাদের তরুণদের জীবনটা হবে অর্থবহ। যে যা করবে আনন্দ নিয়ে করবে। আপনি আমাকে গালি দিতে পারেন, যা তা বলতে পারেন, আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি এই দেশের তরুণরা আজ ভয়াবহ সংকটে। এই সংকটের সমাধান করতেই হবে। কাউকে আঘাত দেওয়া বা কাউকে শ্রেষ্ঠ বানানো আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি চাই, যে যাই করি দিনশেষে আমরা যেন সত্যিকারের মানুষ হই। আর সে কারণে আমার লড়াইটা চলবে।