এম রবিউল্লাহ: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের লাগাতার সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের রূপ নেবে বলেই আশঙ্কা করছে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী ২৬টি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন হুরিয়াত কনফারেন্স। সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানের সেনারা সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে যেভাবে গুলি চালাচ্ছে আর ভারত যেভাবে তার জবাব দিচ্ছে তাতে এর শেষ যুদ্ধেই হবে বলে মনে করেন হুরিয়াত কনফারেন্সের প্রধান মিরওয়াজ ওমর ফারুক।
হুরিয়াতের মুখপাত্র এ ব্যাপারে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি উপেক্ষা করে যেভাবে গুলির লড়াই চলছে তাতে পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে। তবে এতে কারোরই লাভ হবে না। তাতে নিহত ও ধ্বংসই হবে।
আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরের বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা ক্রমশ যাতে যুদ্ধের আকার ধারণ না করে তার জন্য সবার উচিত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। এর জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দুই দেশের সম্পর্কের এই চাপা উত্তেজনা নিয়ে সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও, হুরিয়াত নেতারা কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জম্মু-কাশ্মীর সরকারকেই দায়ী করছেন।
হুরিয়াতের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, বর্তমান সরকার পরিস্থিতিকে ১৯৯০ সালের অবস্থার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। সেই সময় ভূস্বর্গ কাশ্মীরে অন্ধকারময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিও ওই দিকের সূচনা করছে বলে মনে করেন তিনি। যেভাবে সরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা নাগরিকদের বাড়িতে রাতে রেড করে যুবকদের মারধর করছে বা তাদের বাড়ির জিনিসপত্র লুট করছে তা নিন্দনীয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে যেভাবে সহিংসতা ও দমনপীড়নমূলক নীতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, তাতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীকেও লজ্জায় ফেলছে তারা অভিযোগ করেন হুরিয়াত নেতারা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, সম্পাদনায়- সাইদ রিপন