উম্মুল ওয়ারা সুইটি: হকার উচ্ছেদের সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে ধাওয়া করা দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করার ঘটনাটি বিশেষ ম্যাসেজ বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের মধ্যেও এরকম অনিয়ম-অন্যায় দেখলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০তম কাউন্সিলে নতুন গঠিত কমিটি সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম দিনই বলেছেন তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সব নেতাকর্মীদের জন্য প্রধান শর্ত হলো জনগণের পাশে দাঁড়ানো। গণমুখী হতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। কেউ যদি এ নির্দেশনা ভঙ্গ করে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এদিকে দায়িত্ব পেয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদকও একই কথা বলেছেন। দলের মধ্যে ঢুকে পড়া আবর্জনা পরিষ্কার করবেন তিনি। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগরের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমানের বহিষ্কারকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সেই নির্দেশনার বিশেষ ইঙ্গিত বলে মনে করছেন নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা বড় একটি দল। যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে, তাদের দায়িত্ব দল কেন নেবে? তিনি ছাত্রলীগের দুই নেতার বহিষ্কারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের সমর্থক সংগঠন মাত্র। তাদের সবকিছুই আলাদা। তারপরও আমি বলবো, এ সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য হুঁশিয়ারি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ হোসেন খোকন এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পরপরই আমি বলেছি, দোষী যেই হোক তাকে আমরা ছাড় দেবো না। আওয়ামী লীগ কেন এই দায়দায়িত্ব নেবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যত বড় পদেরই হোক না কেন, দোষীদের দল থেকে বাদ দিতে হবে। ছাত্রলীগ অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুই নেতার এ বহিষ্কার অবশ্যই কেন্দ্রের নির্দেশেই হয়েছে। এটা একটা ম্যাসেজ দলের জন্য। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবার। সম্পাদনা : আলাউদ্দিন