আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পোতে নুসরা ফ্রন্টের বিদ্রোহীদের হামলায় তিনদিনে নারী ও শিশুসহ ৮৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিডিনিউজ
সোমবারের পূর্ববর্তী তিনদিনে চালানো রাসায়নিক অস্ত্র ও রকেট হামলায় এরা নিহত হয় বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনীটি। জুলাইয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর নুসরা ফ্রন্ট নাম পাল্টে জাবহাত ফাতেহ আল শাম নাম নেয়। এই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী।
আলেপ্পোর পূর্বাংশে সরকারি বাহিনীর অবরোধের মধ্যে আটকে পড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ওই অবরোধ ভাঙার জন্য বিদ্রোহীদের যেসব গোষ্ঠী শুক্রবার থেকে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে তার মধ্যে এই গোষ্ঠীটি প্রধানতম। আলেপ্পোর পশ্চিমাংশ সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
রোববার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম আলেপ্পোর হামদানিয়া এলাকায় জঙ্গিরা বিষাক্ত গ্যাসের গোলা বর্ষণ করেছে। এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।
সোমবার এক বিবৃতিতে সিরীয় সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর হাই কমান্ড জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা স্কুল ও বেসামরিক লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, তারা ২০টি বিষাক্ত গ্যাস শেল, ৫০টি গ্রাড রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং ৪৮টি অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রায়েটস জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭টি শিশুসহ ৪৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করেছে তারা। এর আগে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ও পশ্চিমা দেশগুলো রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তা পাওয়া সিরীয় সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার হাসপাতাল, বেকারি ও অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য দায়ী করেছিল। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও অন্তত দুটি রাসায়নিক হামলার জন্য সিরীয় সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। তবে সিরীয় সেনাবাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং রাশিয়া ওই প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন দাবি করে এর সমালোচনা করেছে। বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে পূর্ব আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ