পরাগ মাঝি: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি ফলাফল মেনে নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, ফলাফল মেনে নেবেন যদি তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হন। নির্বাচনি ভোট গণনার মেশিনগুলোতেও কারচুপি করা হচ্ছে বলেও ট্রাম্প দাবি করেন। ফলে তার বিরুদ্ধে একটি গভীর চক্রান্ত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
সম্প্রতি আইওয়া অঙ্গরাজ্যের এক নারী ভোট জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হন। অভিযোগ ছিল- তিনি ট্রাম্পকে দুটি ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তার ভয় ছিল ট্রাম্পকে ভোট দিলেও এটি হিলারির খাতায় যোগ হবে। মহিলার এ দাবিটি ট্রাম্প সমর্থকদের আলোড়িত করেছে। আলোড়িত হয়েছেন ট্রাম্প নিজেও।
কলোরাডোর গ্রিলিতে এক নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প তার সমর্থকদের ‘মেইল ব্যালট’-এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ভোট দিতে বলেছেন। তার ভয়- মেইল ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের ভোট গণনা করা হবে না। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ভোটগুলোকে পুনরায় যাচাই করুন, এগুলোকে ঠিকঠাক গণনা করা হয়েছে কি-না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রে আপনারা গিয়ে ব্যালট চাইবেন। যদি তারা আপনার পুরনো ভোটটিকে গণনায় না ধরে তবে তারা আপনাকে নতুন ব্যালট দেবে।’
সবশেষে ট্রাম্প যুক্তি দেখান, যদি মেইল ভোট ঠিকমতো গণনা না হয় তবে একজনের ভোট একাধিকবার গণনারও সুযোগ থাকে। কলোরাডোতে এ বছর থেকেই একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে, যার ফলে ভোটের দিন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম