এম. নাজিম উদ্দিন, রাঙামাটি: পার্বত্যাঞ্চলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কার্যক্রম প্রশংসনীয় উল্লেখ করে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলের যে বহুমুখি বাস্তবতা সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিজিবি কাজ করে চলেছে। পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টরের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেক্টর সদরের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত প্রীতিভোজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিজিবির সদস্যরা পার্বত্যাঞ্চলকে বিশেষ অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ ছাড়াও বিজিবি নিঃসন্দেহে জনগণের কল্যাণেই কাজ করে চলেছে। সন্তু লারমা বিজিবির উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করেন এবং জনহিতকর কাজের জন্য বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরকে ধন্যবাদ জানান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত প্রীতিভোজের পূর্বে বিজিবি রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আশরাফুল ইসলাম আগত সকল অতিথিদের বরণ করে নেন। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুবুল আলম, এনডিসি, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নুরুল হুদা, ডিজিএফআই অধিনায়ক কর্নেল মো. এমদাদ উল্লাহ ভুঁইয়া, পিএসসি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও এএসইউ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিঞা মো. হেমায়েত হোসেন, ২২ বিজিবি বরকল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আলাউদ্দীন আল-মামুন, ২৫ বিজিবি ছোট হরিনা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শাহাবুদ্দীন ফেরদৌস, নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এম ইমরান হামিদ, পিএসসি, রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রীতিভোজের পূর্বে বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরের কর্মকান্ড সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর মো. ফজরে রাব্বি পিবিজিএম। সন্ধ্যায় বিজিবির হ্যালিপ্যাডে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী