এস এম নূর মোহাম্মদ: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩১ (ক) ধারার কোনো প্রয়োগ আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় অতীতে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গতকাল জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে ও ব্যারিস্টার মো. ওসমান আজিজ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির।
পরে আইনজীবী কুমার দেবুল দে জানান, মিলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি গত বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। চলতি বছর ২১ মার্চ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। তিনি বলেন, মামলাটি আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওই আসামির পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
আইনের ৩১ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল তার কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিকট দাখিল করবে। যার একটি অনুলিপি সরকারের নিকটও দাখিল করতে হবে। আর প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম