আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিছনে গত ৫টি বছর ব্যয় করেছে রাশিয়া। এ সময়ে তারা তাকে তাদের মতো করে তৈরি করার চেষ্টা করেছে। রাশিয়ার একটি সম্পদ হিসেবে তাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে যাতে পশ্চিমা গণতন্ত্রকে খর্ব করা যায়। বর্ষীয়ান এক গোয়েন্দাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও রিপাবলিকান দল থেকে এ নির্বাচনে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার নির্বাচনি শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগের ইস্যুটি এবার বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষ করে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি নিজেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের হাতের পুতুল বলে আখ্যায়িত করেছেন। ডেমোক্রেট শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের ইমেইল হ্যাক করা হয়েছে রাশিয়া থেকে। এতে সরাসরি রাশিয়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগ রয়েছে। এরই এক পর্যায়ে গত শুক্রবার এফবি আই প্রধান জেমস কমি মার্কিন সিনেটকে হিলারির আরও কিছু ইমেইল পাওয়া ও তা অনুসন্ধানের কথা জানান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঝড় বইছে। জেমস কমির এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে তাকেই চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের সিনেটে ডেমোক্রেট দলীয় নেতা হ্যারি রেইড। তাতে তিনি অভিযোগ এনেছেন, জেমস কমি ‘হ্যাচ অ্যাক্ট’ ভঙ্গ করেছেন। জেমস কমির বিরুদ্ধে দ্বিমুখী অবস্থান নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। হ্যারি রেইড বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে যে তথ্য রয়েছে তা বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক তথ্যের ওপর বসে আছে এফবি আই। ওই সব তথ্যও এফবি আইয়ের প্রকাশ করা উচিত। ইন্ডিপেন্ডেন্টে সাংবাদিক এডাম উইথনাল লিখেছেন, রাশিয়ার গোয়েন্দা কর্মকান্ডের বিষয়ে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে পশিমা সাবেক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা মাদার জোনসের। তিনি এফবি আইকে বিপুল সংখ্যক মেমো দিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির ও ক্রেমলিনের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধা সংবলিত তথ্য বিনিময় হয়েছে। রাশিয়ার সোর্সগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে মাদার জোনস বলেছেন, রাশিয়ার শাসনযন্ত্র কমপক্ষে ৫ বছর ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপযোগী (কালটিভেট) করে তুলেছে। সমর্থন দিয়েছে। সহায়তা দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য পশ্চিমা জোটের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিতে উৎসাহিত করা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ