দেশের বাইরে জিততে হবে ইংল্যান্ডকেও
সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম বাংলাদেশের কাছে ইংল্যান্ডের শোচনীয় আত্মসমর্পনকে বড় করে দেখতে রাজি নন। উইকেট নাকি বানানোই হয়েছিল স্পিনের জন্য। বোথাম তার দেশের খেলোয়াড়দের সান্ত¡না দিতে অনেক কিছুই বলবেন, এতে আমরা মাইন্ড করবো না। তবে এতদিন ক্রিকেট খেলেছেন, আর হোম অ্যাডভান্টেজ বিষয়টা বুঝি জানেন না মি. বোথাম, এটা বিশ্বাস করতে মন চায় না।। সব দেশই তো নিজেদের সুবিধামতো উইকেট বানায়। উপমহাদেশের উইকেট কেমন হতে পারে, এটা জানেন না বোথাম বা তার উত্তসুরীরা?
নিজেদের সান্ত¡না দেয়ার পাশাপাশি বোথাম সাহেব মুশফিক বাহিনীকে দেশের বাইরে জিততে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন। বিনা পয়সায় মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে বয়সের কারণে বোধহয় বোথাম সাহেবের সব কথা মনে থাকে না ইদানিং। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ যে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল এবং ভারত-আইসিসির যৌথ প্রযোজনায় হেরে গেল, সেটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হয়েছিল। সেটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ‘দেশের বাইরে’ই। আর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কিন্তু বাংলাদেশের জন্য স্পেশাল অর্ডার দিয়ে স্পিনিং উইকেট বানায়নি। বোথাম সাহেবকে মনে করিয়ে দিতে চাই, সেই বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডের বিদায়টা হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে হেরেই। বোথাম হয়তো লজ্জায় কানে দিয়েছেন তুলো, পিঠে বেঁধেছেন কুলো আর চোখে দিয়েছেন টিনের চশমা। নইলে ঠিকই দেখতে পেতেন, বাংলাদেশ এখন অন্যরকম। টি-২০-ওয়ানডে-টেস্ট, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ এখন দূরন্ত-দুর্বার। ১৫ মাস পর আমরা টেস্ট খেলার সুযোগ পাই। তাই টেস্টে বাংলাদেশের অত ভালো না করার দায় যতটা আমাদের, ততটাই আইসিসির।
বোথাম সাহেব যদি মুশফিককে পরামর্শ না দিয়ে কুককে দেশের বাইরে জেতার চ্যালেঞ্জটা মনে করিয়ে দিতে পারতেন, তাহলে ভালো হতো। ৬৯ বছর আগে যা-ই থাক, বাংলাদেশ তো এখন ইংল্যান্ডের কাছে বিদেশই, নাকি? ষড়যন্ত্র করে সিরাজ উদ দৌলাকে হারানো গেলেও, মাঠের খেলায় মিরাজ উদ দৌলাকে হারানো অত সহজ নয়।
লেখক : এসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
ই-মেইল : ঢ়ৎড়নযধংয২০০০@মসধরষ.পড়স