জিল্লুর রহমান, সামাদ আজাদ, কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারের সন্তানরা উপেক্ষিত আওয়ামী লীগে
আবুল বাশার নূরু: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ আইভী রহমানের ছেলে নাজমুল আহসান পাপন এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেনÑ এমন আলোচনা ছিল সব মহলেই। কিন্তু কোনো পদ পাননি তিনি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শাসনামলে হবিগঞ্জে নিজ নির্বাচনি এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় গ্রেনেডহামলায় শহিদ হন শাহ এএমএস কিবরিয়া এমপি। ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিবরিয়াপুত্র রেজা কিবরিয়াকে বাবার আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তাকে রাখা হয়নি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শাসনামলে গাজীপুর টঙ্গীতে নিজ বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপিকে। তার বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল বাবার আসন থেকে পরপর তিন বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাসেল আসবেনÑ এমনটি প্রত্যাশা ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের। কিন্তু তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি। শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরি সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনটিতে সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন আজকের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন। এরপর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগেরই রয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে গেলে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিতেন। সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর তার ছেলে আতিকুস সামাদ ডন দলীয় মনোনয়ন পাবেনÑ এমন প্রত্যাশা ছিল একাকাবাসীর কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ডন। কিন্তু তিনি জয়ী হতে পারেননি। ডনের অভিযোগÑ বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে জোর করে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রে তাকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ডনকে আনা হতে পারেÑ এমন গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে দলটির প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, কামরুজ্জামানের মেয়েকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু কিবরিয়া, সামাদ আজাদ, জিল্লুর রহমান, আহসানউল্লাহ মাস্টারের সন্তানদের আওয়ামী লীগ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী