বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আ. লীগের বৈঠক হবে না : নাসিম
রফিক আহমেদ: আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনোদিন বৈঠক হবে না।
গতকাল বুধবার নগরীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সভা পরিচালনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। কারণ তারা ক্ষমতায় আসার অর্থ হলো বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার খুনিরা ক্ষমতায় আবার আসা।
১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র চিরতরে নস্যাৎ করে দিতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ)-র কার্যকরি সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে আমরা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার হত্যার বিচার পেতাম না। তিনি সব বাধা দূর করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার হত্যার বিচার করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে খুনিরা সুবিচার না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বিচার কাজকে বাধাগ্রস্ত করে বিচারকে প্রভাবিত করেছিল। তারা ক্ষমতায় থাকার সময় আপিল বিভাগে মামলার বিচার কাজ ঝুলিয়ে রেখেছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতা যে আদর্শের জন্য জীবন দিয়েছেন সে আদর্শের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের সম্প্রসারিত রূপ। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারত এবং মানুষকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারত তাদেরকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং খোন্দকার মোস্তাক সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু আদর্শ ও রাজনীতির মৃত্যু। দেশ থেকে হত্যার রাজনীতি পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্পাদনা: কিরণ সেখ