‘ভারতের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বাড়াতে পানি বণ্টন সমাধান জরুরি’
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বাড়াতে পানি বণ্টন ইস্যু সমাধান জরুরি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগ বাড়াতে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন ইস্যু সমাধান হওয়া জরুরি। এর মাধ্যমে দুই দেশই লাভবান হতে পারে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্য বাড়বে। পণ্যবাহী যানবাহন তখন সরাসরি যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইনহ্যান্সিং ইন্দো-বাংলা ওয়াটারওয়েস কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আইবিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সৈয়দ মুনির খসরু। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্বব্যাংকের দিল্লি অফিসের পরামর্শক তারিক আহমেদ করীম, ভারতের এফআইসিসিআই-নর্থ-ইস্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রণজিৎ বারঠাকুর এবং আইবিসিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট দেওয়ান সুলতান আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়বে। ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও উন্নয়ন অংশীদার। দুই দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশ হতে অ্যালকোহল ও তামাক ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করেছে ভারত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ১৯৭২ সালে। ওই চুক্তি অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নবায়ন হয়। সম্পাদনা: দেলওয়ার হোসাইন