আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেনশন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সাবেক এক সেনা সদস্য আত্মহত্যা করার পর সরগরম হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনীতি। রাম কিষেণ গ্রেবাল নামের ওই সাবেক সুবেদারের শেষকৃত্যে অংশ নিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতারা গতকাল হরিয়ানায় ছুটে গেছেন। এনডিটিভি জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়ানও ছিলেন রাম কিষেণের বাড়িতে শেষকৃত্যের মিছিলে। গত মঙ্গলবার দিল্লির কেন্দ্রস্থলে এক সরকারি বাসায় বিষ পান করেন সুবেদার গ্রেবাল। ওই অবস্থায় নিজের ছেলেকে ফোন করে তিনি বলে যান, ‘আমার জওয়ানদের জন্য ও আমার দেশের জন্য আমি নিজেকে উৎসর্গ করলাম।’ এর কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার শব বহনকারীদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রনদ্বীপ সিং সূর্যওয়ালা। হরিয়ানা রাজ্যে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী কৃষাণ লাল পানওয়ার এবং বিজেপির পার্লামেন্ট সদস্য ধরমবীরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার ডেপুটি মনিষ সিসোদিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেবালের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরদিন দিল্লিতে গ্রেবাল পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীকে দুবার আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়। ভারতীয় প্রতিরা মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেবালের পেনশন তারা মঞ্জুর করলেও যে ব্যাংকের মাধ্যমে তার পেনশন পাওয়ার কথা, তাদের ব্যর্থতায় পুরো অর্থ ছাড় হতে দেরি হয়েছে। সাবেক এই সেনা সদস্যের মৃত্যুতে কেউ ইন্ধন যুগিয়েছে কি নাÑ তা তদন্ত করে দেখা হবে।
ভারতের বিরোধী দলগুলো বলছে, সুবেদার গ্রেবালের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে, ‘ওয়ান র্যাংক ওয়ান পেনশন’ বা ওআরওপি স্কিম চালু করতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এই স্কিমের মাধ্যমে একই র্যাঙ্কের সব সেনা সদস্যের সমান পেনশন পাওয়ার কথা। সরকার ওই ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিলেও সাবেক অনেক সেনা সদস্যের অভিযোগ, তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। কেজরিওয়াল সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ওআরওপি চালু করা নিয়ে ‘মিথ্যা কথা বলেছেন’ মোদী। অন্যদিকে রাহুল গান্ধি বলেছেন, সুবেদার গ্রেবালের পরিবারের কাছে সরকারকে অবশ্যই মা চাইতে হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী