বিপিএলে যেখানে অনন্য গেইল
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে কার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি? এমন প্রশ্নেœ নিশ্চিতভাবে অধিকাংশই ক্রিস গেইলকে বেছে নেবেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপীই ক্রিকেটের সংপ্তিতম ফরম্যাটে এই ক্যারিবিয়ান দানবের চাহিদা আকাশচুম্বী। বিপিএলের আগের তিন আসরে অংশ নিয়ে একটি দিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন গেইল। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একাধিক সেঞ্চুরি করে বাজিমাত করেছেন তিনি।
বিপিএলের গত আসরে কোনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি গেইল। তবে প্রথম দুই আসরে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। আর কোনো ক্রিকেটার বিপিএলে একটির বেশি সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছা যেন খুবই সহজ গেইলের কাছে। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরেই ঝলক দেখান গেইল। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে দুটি সেঞ্চুরি করে দর্শকদের বিনোদিত করেন এই ক্যারিবিয়ান দানব। বিপিএলের প্রথম আসরের প্রথম ম্যাচে বরিশাল বার্নার্স ও সিলেট রয়্যালস মুখোমুখি হয়েছিল। উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হার না মানা সেঞ্চুরি করে বরিশালকে ১০ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়েছিলেন গেইল। সেই ম্যাচে ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ক্যারিবিয়ান দানব। চারদিন পর প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের বিপওে ঝড় তুলে সেঞ্চুরি করেন গেইল। সেবার ৪১ বলের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ঢাকার করা ২০৮ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল ম্যাচটি ২১ রানে হেরে যায়। ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে দল বদলে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সে যোগ দিলেও আগের মতো ঠিকই বিধ্বংসী রূপেই ধরা দেন গেইল। সেবার সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ঢাকাকে ফাইনালে তোলেন এই ক্যারিবিয়ান দানব। গেইলের ৫১ বলে ৫টি চার ও ১২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৪ রানের দানবীয় ইনিংস ঢাকাকে ফাইনালে নিয়ে যায়। সেঞ্চুরি করাকে দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ বানিয়ে ফেলা গেইল গত মৌসুমে বরিশাল বুলসের হয়ে খেলেন। তবে তৃতীয় আসরে সেঞ্চুরির খুব কাছ গিয়েও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া হয়নি তার। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপে ৪৭ বলে ৬টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন গেইল। ক্যারিয়াবিয়ান এই ক্রিকেটার ছাড়া বিপিএলে সেঞ্চুরি করার কীর্তি রয়েছে আরো পাঁচ ব্যাটসম্যানের; যার দুজনই বাংলাদেশি। সম্পাদনা: এল আর বাদল