একই কাজ করতে আউট সোর্সিং করা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা লিয়েনে বাণিজ্যিক ব্যাংকে
জাফর আহমদ: বাংলাদেশ ব্যাংকের চার্টার্ড একাউন্ট (সিএ) কর্মকর্তা লিয়েনে কর্মরত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। আর একই কাজ করার জন্য বাইরে থেকে আউট সোর্সিং করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে নিজেদের লোকবলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মকর্তা তৈরি করলে বাইরে থেকে জনবল হায়ার করে আনা লাগতো না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন ডেপুটি পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা লিয়েনে ছুটি নিয়ে সোনালী ও জনতা ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দাস সোনালী ব্যাংকে জিএম পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন। যার বেতন ও সুবিধাদিসহ প্রাপ্তি প্রায় লক্ষাধিক টাকা। একই পদ মর্যাদায় ও সুবিধা নিয়ে জনতা ব্যাংকে কর্মরত নুরুল আমিন। এসব কর্মকর্তা বেতন ও সুবিধাদিসহ লক্ষাধিক টাকার সেবা পাচ্ছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত থাকলে এসব কর্মকর্তা সর্বসাকুল্যে ৭০ হাজার টাকা বেতন ও সুবিধা-সুবিধা ভোগ করতেন। যদিও সম্প্রতি এসব কর্মকর্তা যুগ্ম পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছ্নে। লিয়েন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করলে এসব কর্মকর্তা যুগ্ম পরিচালকের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিপন্থী ব্যবস্থা বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা পছন্দীয় নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে কেউ চলে যেতে পারে। সে স্বাধীনতা যে কারও আছে। কিন্তু লিয়েনে বা অন্য কোনো পন্থায় বাইরে চলে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসবে- বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র ক্ষুণœ হতে পারে।
এদিকে একই নিরীক্ষা কাজের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক দুজন কর্মকর্তাকে বাইরে থেকে আউট সোর্সিং করেছে। যারা মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হিসেবে কর্মরত আছেন। একজন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। অপরজন এশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে একজন আগের চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতি করার দায়ে সম্প্রতি আটক হয়ে জেলে আছেন। অপরজন এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে এ রকম আরও কর্মকর্তা আছেন যাদের অবসরে যাওয়ার পর ওই স্থানে নিয়োগ দেওয়ার মতো যোগ্য লোক তৈরি না হওয়ায় পুরনো লোককেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি মুখপাত্র এফএম মোকাম্মেল হোসেন বলেন, যা কিছু করা হয় আইন-কানুন মেনে করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইনের বাইরে কিছু হচ্ছে না। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু