হিলারির পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রচার-প্রচারণা
মাহমুদুল আলম: সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রায় সারা বছরই থাকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানার-ফেস্টুনসহ নানান প্রচার-প্রচারণা। এসব সংগঠনের মধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর অঙ্গসংগঠন ছাড়াও আছে আইনজীবীদের বিভিন্ন অঞ্চল বা সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সংগঠন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে চলছে প্রচার-প্রচারণা।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পুরাতন ভবন ও বার ভবনের সংযোগ সেতুতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি কিনটনের পক্ষে ভোট চেয়ে কয়েকটি ব্যানার-ফেস্টুন। এগুলোর উপরের দিকে বামে যুক্তরাষ্ট্রের ও ডানে বাংলাদেশের পতাকার ছবি আছে। সংশ্লিষ্টরা মূলত বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি কিনটনকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনে। হিলারি কিনটন সাপোটার্স ফোরামের পক্ষে আহ্বায়ক এ.বি.এম রফিকুল হক তালুকদার (রাজা) ও সদস্য সচিব মাজেদুল ইসলাম পাটওয়ারী (উজ্জ্বল) এই প্রচারণা চালান।
জানতে চাইলে গতকাল আইনজীবী রফিকুল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের আইনজীবীদের মধ্যে অনেক দ্বৈত নাগরিক আছেন। তাদেরসহ অন্যান্য দ্বৈত নাগরিকদের ভোট হিলারির পক্ষে নিতে প্রচার-প্রচারণা চালাতে আমরা ২০১ জন আইনজীবীকে নিয়ে একটা কমিটি করেছি। কমিটি থেকে আমরা স্বশরীরে গিয়ে, ফোনে, ই-মেইলে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন উপায়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিলারি কিনটনের পক্ষে ভোট টানার চেষ্টা করছি। তাছাড়া ৮ নভেম্বর ভোটের একদিন আগে আগামী রোববার আমরা একটি সভাও করব সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে।
আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রচার-প্রচারণা খুব ভালভাবেই চলছে। দ্বৈত নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। যারা ভোট দিতে যেতে চাচ্ছেন না, তাদেরকেও আমরা ভোট দিতে যেতে উদ্বুদ্ধ করছি।
প্রচারণার কারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, সারা বিশ্বের উপরই আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ আছে। তাই সেখানে একজন ভাল প্রেসিডেন্ট আসলে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের জন্যও ভাল। আমরা মনে করি হিলারি একজন ভাল প্রার্থী। তিনি নির্বাচিত হলে তা বাংলাদেশের জন্যও ভাল। হিলারির নির্বাচন পরিচালনায় যারা নিয়োজিত তাদেরকে আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে ই-মেইলে অবহিত করেছি। তাছাড়া রোববারের কর্মসূচি বিষয়েও আমেরিকান অ্যাম্বাসীকে অবহিত করব আমরা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম