ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পোকাতি পশ্চিমপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরের সভাপতি চক্র মোহন সরকার জানান, মন্দিরে পূজা করে হরি কীর্তন শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভক্তরা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়। এরপর রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দির
চত্বরের কালী মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তারা পাশের দুর্গা মন্দিরের ভেতরে থাকা লোহার দরজার ফাঁকা দিয়ে গীতা টেনে বের করে আগুন দেয়।
পশ্চিমপাড়ার বিপেন সরকার জানান, শুক্রবার সকালে ভক্তরা মন্দির এলাকায় গিয়ে একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা ও অন্যটির দরজার ভেতরে পোড়া জিনিসপত্র দেখতে পাওয়া যায়। কালী মন্দিরে প্রতিমার হাত-পা ভেঙে মাথা আলাদা করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পয়গাম আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বলেন, তদন্তে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে আটক করা হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ। তিনি মন্দির এলাকা ঘুরে দেখেন ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন পরিষদ ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত বলেন, সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় এ ঘটানো হয়েছে। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের পেছনে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম