আবদুল্লাহ তারেক: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নয় পুলিশ নিহত হবার ঘটনায় ৯ অক্টোবর থেকে সেখানে মিয়ানমার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ সৈনিক এবং ৩৩ সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা এই অঞ্চলে সহায়তাকর্মী এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এদিকে হত্যা, ধর্ষণ এবং বেসামরিক জনগণের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে
রোহিঙ্গা মুসলিমরা। যদিও সরকার এবং সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করে আসছে। বৃহস্পতিবার এক বিদেশি কূটনীতিক ওই গ্রাম পরিদর্শন করে অক্টোবরের হামলার জন্য তদন্ত করার ঘোষণা দেয়ার পর পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রধান ক্যাউ ম্যা উইনের মতে, তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৫ বন্দুকধারী মাউংদা শহরের কাছে একটি চেকপোস্টে হামলা চালায়। প্রায় ১.১ মিলিয়ন জনসংখ্যার রাখাইনে বেশিরভাগই মুসলিম; যাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায় মিয়ানমার সরকার। এদিকে, হামলার ঘটনায় ওই এলাকা থেকে কতিপয় সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করার পাশাপাশি সেখান থেকে ৯ অক্টোবরে চুরি যাওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। মিয়ানমার নেতা অন সাং সুচি বলেন, আমরা ঘটনার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছি, অপরাধ প্রমাণিত না হবার আগ পর্যন্ত সবাই নির্দোষ। সবগুলো ঘটনারই পূর্ণ তদন্ত হবে এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। রয়টার্স