জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন ট্রাম্প!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে জয়ের গন্ধ পাওয়ার দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে এফবিআই ফের তদন্ত শুরু করায় তার সমর্থনের পালে দমকা হাওয়া। ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর এক মেলার মাঠে সমর্থকদের বললেন, ‘ভোটের দিন দলে দলে গিয়ে দরকারি কাজটা সেরে আসুন। তীরে এসে তরি ডোবাবেন না। ভোটটা দিন। ফ্লোরিডার ১০০% ভোট আমার চাই। তা হলে হোয়াইট হাউস দখলও ১০০% পাক্কা।’ ইউরনিউজওয়্যার
আমেরিকার ভোটের অংকে আদতেই ফ্লোরিডা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২৯টি প্রেসিডেন্সিয়াল কলেজ ভোট আছে এ একটি রাজ্যের হাতে। জনগণের ভোট নয়, শেষ অংকে এ কলেজিয়ামের ভোটই ঠিক করে দেয় কে হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যে কারণে দুই প্রার্থীই শেষ মুহূর্তের ঝোড়ো প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ সব কটা রাজ্য একবার করে ছুঁয়ে যাচ্ছেন। হিলারি ক্লিন্টন বুধবার রাতে ছিলেন অ্যারিজোনায়। যেখানে ট্রাম্পের ভোট বেশি বলে সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। হিলারি চাইছেন সেই ভোটে ভাগ বসাতে, যেমন ট্রাম্প কামড় বসাতে চাইছেন হিলারির ফ্লোরিডার জনসমর্থনে। কারণ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৩১টি কলেজ ভোট নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। হিলারি নিশ্চিন্ত আছেন, ১৬৮টি কলেজ ভোটের ব্যাপারে। আরও ৫৯টি ভোট ঝুঁকে আছে তার দিকেই। অন্যদিকে ট্রাম্প যদিও ১০০টি কলেজ ভোট নিশ্চিত করেছেন, আরও ৮০টি ভোট তার দিকে ঝুঁকে। কাজেই এখনো অনিশ্চিত ওই ১৩১টি কলেজ ভোট অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি চরমে। এক সংবাদমাধ্যম ট্রাম্পকে এগিয়ে দিচ্ছে তো অন্যটি হিলারিকে। বৃহস্পতিবার যেমন সব থেকে আলোড়ন ফেলা খবর ছিল, লস এঞ্জেলেস টাইমস তাদের শেষ সমীক্ষায় ৬ পয়েন্টে এগিয়ে দিয়েছে ট্রাম্পকে। দিনশেষে ফের অন্য একটি খবরে দাবি করা হলো, না, হিলারি আবার এগিয়ে গেছেন এক পয়েন্টে। তবে এখনো ই-মেইল কেলেঙ্কারি অস্বস্তিতে রেখেছে হিলারিকে।
অরল্যান্ডোর সভায় ট্রাম্প বুক বাজিয়ে বলেছেন, আমেরিকায় নেতৃত্বের বদল আসন্ন। কারণ এফবিআই নতুন করে ই-মেইল কেলেঙ্কারির যে তদন্ত শুরু করেছে, তা অবধারিতভাবে গিয়ে পৌঁছবে ফৌজদারি তদন্তে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ