কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটের হার কমাতে নর্থ ক্যারোলিনায় রিপাবলিকানদের ষড়যন্ত্র!
পরাগ মাঝি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত সময় যতই ঘনিয়ে আসছে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দুই শিবিরেই উত্তেজনা তত বাড়ছে। এমনকি বেড়ে গেছে নির্বাচনী গুজব এবং ষড়যন্ত্রও। স্যালোন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা নতুন এক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান প্রার্থীরা প্রাথমিক ভোটের সময়টিকে সীমিত করে আনার প্রক্রিয়ায় আছেন। এ উপায়ে
তারা সংখ্যালঘু আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটের হার কমিয়ে দিতে সমর্থ হবেন বলে আশা করছেন। রিপাবলিকান অধ্যুষিত এই অঙ্গরাজ্যে সংখ্যালঘুরাই ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারির ভোট ব্যাংক।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় রিপাবলিকান নেতারা অন্তত ১৭টি কাউন্টি অফিসে লবিং করেছেন প্রাথমিক ভোটের ঘণ্টাগুলোকে কমিয়ে আনার জন্য। আর তা করা হবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সন্ধ্যাগুলোতে। কারণ এই সময়গুলোতেই ভোটের কেন্দ্রগুলোতে ডেমোক্রেট ভোটারদের চাপ বাড়ে।
২০১২ সালে নর্থ ক্যারোলিনায় ৭৮টি ভোটিং কেন্দ্র প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ঘণ্টা ভোটের জন্য উন্মুক্ত ছিলো। কিছু কাউন্টিতে একটিমাত্র ভোটকেন্দ্র থাকায় ভোটের হার প্রায় ২০ শতাংশ কম।
রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিল ম্যাকালটি নামে রাজ্যটির এক কাউন্টি ইলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান বর্ণনা করেন, গত জুলাইয়ের রোববারগুলোতে আফ্রো-আমেরিকান গীর্জাগামীদের জন্য তিনি যখন একটি ভোটকেন্দ্র খোলা রাখেন তখন তাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সাব্যস্থ করে রিপাবলিকানরা।
ম্যাকালটি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি একজন ভিলেইনে রূপান্তরিত হলাম এবং আমাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। আর এসব কিছুই করলো রিপাবলিকান সমর্থকরা। তবে, নর্থ ক্যারোলিনায় রিপাবলিকানদের এমন আচরণ এই প্রথম নয়। বিগত নির্বাচনগুলোতেও তারা তাদের প্রভাব দেখিয়েছে। স্যালোন