ঢামেকে কিশোরীকে ধর্ষণ আনসার সদস্যদের বাঁচানোর চেষ্টা!
মাসুদ আলম : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ আনসার সদস্য এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ঘটনায় আনসার সদস্য আতিকুলকে বৃহস্পতিবার চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শাহবাগ থানা পুলিশ। আতিকুল ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খুললেও তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত ছয় আনসার সদস্যকে বাঁচাতে চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত পাঁচ আনসার সদস্য প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ওই তরুণীর পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষক আনসার সদস্যদের
বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখনো তারা ধরা পড়ছে না। নামে মাত্র তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে আনসার সদস্যরাই তাদের ধরিয়ে দিতো পারতো। বরং তাদের পালাতে সহযোগিতা করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এ আনসার সদস্যরা নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল। রোগীদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে কিছু সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া, দালালদের সঙ্গে শলাপরামর্শে রোগী ক্লিনিকে ভাগিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পুরনো কোনো অভিযোগ নতুন করে উঠে না আসে, সে জন্যই তাদের বদলি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রিমান্ডের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আসামিদের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চলানো অথবা ধর্ষণের বিষয়টি আতিকুল স্বীকার করেছে কিনাÑ এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ এ তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনায় এখন গণমাধ্যমে কোনো তথ্য দেওয়া নিষেধ বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পলাতক পাঁচ আনসার সদস্যকে ধরতে চেষ্টা চলছে। শুক্রবার বনশ্রীতে এক আসামিকে ধরতে দুবার অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া জানতে পেরেছি যশোরে এক আসামি রয়েছে, তাকে ধরতেও অভিযান চলছে। তবে রিমান্ডে থাকা আসামির বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আনসার সদস্যরাও তাদের ধরিয়ে দিতে পারতো। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন