নার্গিসের জবানবন্দির অপেক্ষায় পুলিশ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও মবিনুর রহমান : কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। নার্গিসের জবানবন্দির জন্য চার্জশিট দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট শাহপরাণ থানার এসআই হারুন-আর-রশিদ বলেন, দুই সপ্তাহ আগে চার্জশিট দেওয়ার কথা থাকলেও জবানবন্দির জন্য তা বিলম্বিত হচ্ছে। কারণ নার্গিস এখনো ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। এ ধরনের একটি ঘটনায় ভিকটিমের জবানবন্দি জরুরি। তিনি বলেন, আমরা নার্গিসের কথা শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।
নার্গিসের অবস্থা প্রতিনিয়ত ভালোর দিকে যাচ্ছে। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, আন্তরিকতার সবটুকু দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নার্গিসের আরও একটি অস্ত্রোপচার করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন বলেন, নার্গিসের অবস্থা প্রতিনিয়ত ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমাদের আন্তরিকতার সবটুকু দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর ছাড়াও নার্গিসের বাম হাত ও মাথার ডান পাশে খুব শিগগিরই অস্ত্রোপচার করা হবে। এজন্য প্রস্তুতি চলছে। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বাবা মাসুক মিয়া বলেন, নার্গিস আগের মতোই আছে। কখনো আমাদের চিনতে পারে আবার কখনো ভুলে যায়। তবে ডাকলে সাড়া দেয়। মা
মনোয়ারা বেগম বলেন, ডাক দিলে সাড়া দিয়েছে। চোখ খুলে তাকিয়েছে। মা বলে ডেকেছে। ভয়াবহ এই হামলার পর এখনও আতঙ্ক কাটেনি মেয়েটির। ওকে জড়িয়ে ধরে সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছি। বলেছি তোমাকে আর কেউ কিছু করতে পারবে না। তোমার কোনো ভয় নেই। কথা শুনে নার্গিস কান্না করতে করতে একবার আমাকে মা বলে ডেকেছে। তার বাবাকেও বাবা বলে ডেকেছে। কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা বদরুলকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম