‘আ’ লীগ খালেদাকে ভয় পায় বলেই সমাবেশের অনুমতি দেয়নি’
কিরণ সেখ: আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তনে মহিলা দলের জেলা সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা,
মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া মাঠে নামলে হাজারো জনতা নিয়ে তাদের রুখে দেবেন। সেই কারণ জেনেই সরকার বিএনপিকে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেয়নি।
তিনি বলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের উচিত ছিল সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু সরকার তা করেননি। এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে আরও ৫টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষ এতো বোকা নয়। তারা খুব সহজেই বোঝা যায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই আপনাদের ‘আওয়ামী লীগ’ প্ররোচনাতেই বাংলাদেশে এমন একটি অবস্থা তৈরি করতে চাচ্ছেন যে অবস্থার মধ্যদিয়ে সাম্প্রতিক উস্কানি সৃষ্টি করছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তনে মহিলা দলের জেলা সম্মেলন শুরু হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথির মধ্যে দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।
এদিকে শুক্রবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর থেকেই আমাদের সভা- সমাবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে ৭ নভেম্বর সমাবেশের জন্য আমরা বিকল্প জায়গায় অনুমতি চাইবো। আমাদের প্রত্যাশা, আমরা সমাবেশের অনুমতি পাবো। ‘৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য আরও অনেকে আবেদন করেছে’ সেই কারণে বিএনপিকে অনুমতি দেয়া হয়নি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ বিএনপিকে অনুমতি না দেয়ার জন্য এ অজুহাত দেখাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০ টা থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। এসময় শহীদ জিয়ার সমাধির প্রবেশ পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ভিতরে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন। তবে সকাল ১১ টার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আখতারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।