রাশিদ রিয়াজ: ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ঘিরে রেখেছে দেশটির যৌথবাহিনী। আইএস জঙ্গিদের পর্যুদস্ত করতে যখন এই অভিযান চলছে তখন মাহমুদ ফাদিলের দিন রাত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে মানুষের দাঁড়ি কামানোর কাজে। দাঁড়ি রাখা বাধ্যতামূলক যে শুধু ঘোষণাই দিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা তাই নয়, সেই সঙ্গে কেউ দাঁড়ি কামালে তার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে রেখেছে জঙ্গিরা। তবে ওই হুমকি উপেক্ষা করেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে মাহমুদ ফাদিলকে। লোকজন তার দোকানে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। চুল-দাঁড়ি কাটছে সবাই। ভয়ে যারা এতদিন দাঁড়ি রেখেছিলেন তারা যেন এখন মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন।
মসুলে তাল কায়েফ আইএস জঙ্গিমুক্ত এলাকা হওয়ায় সেখানেই মাহমুদ ফাদিলকে ভীষণ ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইরাকি সেনাবাহিনী ওই এলাকা মুক্ত করলে লোকজন দলে দলে আসছে মাহমুদ ফাদিলের সেলুনে। ৪৩ বছরের এই ক্ষৌরকার গত দুবছর খদ্দের তো দূরের কথা ভয়ে ভয়ে থেকেছেন কখন জঙ্গিরা এসে তার হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়। মসুলের উত্তরপূর্ব এলাকা থেকে তার দোকান ২০ কিলোমিটার দূরে।
আল-জাজিরাকে মাহমুদ ফাদিল জানান, গত দুই বছরে তেমন কোনো খদ্দের পাইনি। দু-চারজন যারা আসত, চুল কাটতেই। দাঁড়ি কাটতে আসত না কেউ। এ অবস্থায় এখানে রয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না হলেও সবকিছু হারাতে চাইনি আমি। তাই রয়ে গিয়েছিলাম। তারপরও আমি আমার কাজ ভালভাবে করতে পারিনি। কারও দাঁড়ি কাটার সময় ধরা পড়লে নেহাত আঙ্গুলগুলো কেটে নিত আইএস জঙ্গিরা। গত ২৩ অক্টোবর থেকে সে অবস্থা আমুল পরিবর্তন হয়েছে। ডেইলি মেইল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম