এম রবিউল্লাহ: ভারতের ১১ হাজার ৩১৯টি এনজি তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফরেন কন্ট্রিভিউশন রেজুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ)-২০১০ অনুযায়ী এই এনজিওগুলোর লাইসেন্স নবায়ন না করায় তাদের বিদেশি সহায়তা গ্রহণ কার্যক্রম করতে পারবে না। গত ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত এনজিওগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করার ডেড লাইন ছিল। পরে তা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ডেড লাইন পর্যন্ত যে সব এনজিও লাইসেন্স নবায়ন করে সরকারি আদেশের সম্মান দেখায়নি নভেম্বর থেকে তাদের লাইসেন্স বাতিল হবে। ফলে বাতিল হওয়া এনজিওগুলোকে বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে বিপাকে পরতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর ভারতের এনজিওগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। গত বছর মোট ৪,৪৭০টি এনজিওর লাইসেন্স বাতিল করে ভারত সরকার। যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিশাল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রার সন্ধান মিলেছে। একই সঙ্গে ওই এনজিওগুলো তাদের আয়ের সঠিক হিসেব সরকারের কাছে জমা না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বাতিল হওয়া সংস্থার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, এসকর্ট সার্ভিসের মতো সংস্থার নামও।
এর আগে ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ৯ হাজার এনজিওর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের ১০,৩৪৩টি এনজিওকে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বার্ষিক আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। মূলত বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে কত টাকা সাহায়তা পাওয়া গিয়েছে ও সেই টাকা কীভাবে এবং কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তার সম্পূর্ণ নথি চায় ভারত সরকার। নোটিশ পেয়ে মাত্র ২২৯টি এনজিও রিপোর্ট দিয়েছে। বাকিরা রিপোর্ট না পাঠানোয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করে ভারত সরকার। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। সম্পাদনা : এস এম নূর মোহাম্মদ