বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের কর্মসূচি স্থগিত, সেন্ট মার্টিনে দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা নিম্নচাপ : সঙ্কেত বাড়িয়ে ৪ উপকূলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
হাসিবুল ফারুক চৌধুরী : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ সকালে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সমুদ্র বন্দরগুলোয় গতকাল ৩ নম্বরের পরিবর্তে ৪ নম্বর সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে তার টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার কথাছিল। নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। গতকালও তা অব্যাহত ছিল। ঢাকার সদরঘাট থেকে সমুদ্র তীরবর্তী হাতিয়া, ভোলার বেতুয়া, পটুয়াখালীর রাঙাবালি এবং বরগুনার আমতলী অঞ্চলের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের ছোট নদীগুলোয় ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত থাকায় সেখানে ৬৮ ফুটের চেয়ে লম্বা নৌযানগুলো চলাচল করছে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘নাদা’। এ নাম ওমানের দেওয়া। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় উপকূলীয় এলাকায় যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ ও ট্রলার চলাচল দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন দেড় শতাধিক পর্যটক।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ গতকাল সন্ধ্যার দিকে বলেন, শনিবার বিকালের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দ্বীপে আটকে পড়া দেড় শতাধিক পর্যটককে নিরাপদে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ থেকে তিনটি জাহাজে করে সাড়ে সাত শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আসেন। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পাঁচশর মতো পর্যটক সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরে গেলেও ২৫০ জন দ্বীপের বিভিন্ন হোটেলে থেকে যান। বৈরী আবহাওয়ার খবর পাওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারে করে আরও শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে গেলেও প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে। সম্পাদনা: দেলওয়ার হোসাইন