আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি : রানা দাশগুপ্ত
মাহমুদুল আলম: সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক নির্যাতন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ও খিস্টান ঐক্য পরিষদ। জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত গতকাল এই তথ্য দেন।
গতকাল আমাদের অর্থনীতিকে তিনি বলেন, এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা প্রাথমিকভাবে যা করবার তা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যবেক্ষণ ও নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, রামুতে ২০১২ সালে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার পরবর্তীতে সরকার যদি ঠিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করত, তাহলে রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারির ঘটনা হয়ত এড়ানো যেত। আর বর্তমান পরিস্থিতি যদি ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে এরচেয়েও বড় ঘটনার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, এখানে সরকারকে বুঝতে হবে, সংখ্যালঘু নির্যাতন যারা করে তাদের সঙ্গে সরকারের লোকজনও আছে। তাদের কারণে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা যাবে না। তাই তাদেরকে চেনাও সরকারের কাজ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের এসব লোকের সঙ্গে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের কেবল মনস্তাত্ত্বিক মিলই আছে তা নয়। কর্মকা-েও তাদের মিল রয়েছ।
ইতিহাসের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কেবল মনস্তাত্ত্বিক মিল ছিল তা নয়। মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করেছে কিনা, সেটা বিষয় নয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে মোশতাক সরাসরি জড়িত ছিল, এটাই সত্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর বলেন, নাসিরনগরের প্রথম দিনের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে বসেছিলেন। পরে এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে যেন, কোনো ছাড় না দেয়া হয় সেই নির্দেশনাও দেন। তারপর আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ঘরে আগুন দেয়া হল এবং অন্যান্যস্থানে নির্যাতনের ঘটনা ঘটল। তার মানে তারা সরকারকে চ্যালেঞ্জ করছে। এসব বার্তা সরকারকে বুঝতে হবে।
নিজেদের পরবর্তী করণীয় বিষয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকার যেন কোনোভাবেই নাসিরনগরসহ ঘটে যাওয়া এসব ঘটনাকে লঘু করে না দেখে, সেজন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে যাব। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট সমমনা অন্যান্যের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করব। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু