এস এম নূর মোহাম্মদ: সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে এ ভবন নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে যেখানে টিনসেড সেমি পাকা ভবনে বর্তমানে বসবাস করছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, কোর্ট এলাকায় কর্মচারী ভবন রাখা ঠিক হবে না।
জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে গণপূর্ত অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর গণপূর্ত অধিদফতর থেকে সম্ভাব্যতা যাচাই করে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে। যাতে বলা হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য বর্তমানে ১১৬টি টিনসেড সেমি পাকা ঘর আছে। এ জায়গায় বহুতল ভবন হলে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট বহুলাংশে দূর হবে। আর গতি বাড়বে প্রশাসনিক কাজের। তবে পাশে স্বাধীনতা স্তম্ভ থাকায় এ ভবন ১২তলার অধিক উঁচু করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এ প্রতিবেদককে বলেন, আইনজীবীদের বসার স্থান নেই। সেজন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য। এটা করতে গেলে সেখানের (কর্মচারীরা এখন যেখানে থাকছে) কিছু জায়গা লাগে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেছেন এটা দেওয়া যাবে না, এটা স্টাফ কোয়ার্টার করা হবে। আমরা বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যাপারে প্রশাসনিক অনুমোদন পেলে প্রধান বিচারপতির কাছে যাবো কিছু জায়গার জন্য।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এএএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব যে, সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে কর্মচারীদের বাসস্থান। রাষ্ট্রপতির এখানে কিছু কর্মচারী থাকে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট। কারণ বাসভবন এবং কার্যালয় যেহেতু একসঙ্গে। আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কিছু কর্মচারী থাকে তার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট। কিন্তু কার্যালয়ে তো কেউ থাকে না। প্রধান বিচারপতির বাসভবন সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে নয়। উনার (প্রধান বিচারপতির) বাসার সঙ্গে কর্মচারীরা থাকতে পারে। এটা করা উচিৎ হবে না। আইনজীবীরা এটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ২৭৮, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫১২, তৃতীয় শ্রেণির ৮৮৭ ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৫৫টি অনুমোদিত পদ বিদ্যমান রয়েছে। আর এসব পদের বিপরীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সমানুপাতিক। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া করে থাকেন। আর টিনশেডের ওই ঘরগুলোতে ১১১ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বসবাস করছেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো.সাব্বির ফয়েজ এ প্রতিবেদককে বলেন, এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আইনজীবীরা চেয়েছিলেন এখানে সমিতির ভবন করবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি অনুমতি দেননি। এ ভবনটি হলে খুব প্রয়োজনীয় স্টাফদের রাখা হবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি