আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাস থেকে রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়ান টুডে (আরটি)কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ এ দাবি করেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিডিনিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগেই এই দাবি করলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা; যে ওয়েবসাইটটির ফাঁস করা ইমেইল বার্তা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি। সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ আরও বলেছেন, এই নির্বাচনে হিলারির পক্ষে নেমেছে সব প্রতিষ্ঠান, রিপাবলিকান প্রার্থীকে জিততে দেওয়া হবে না বলেই তিনি মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ সুইডেনে হস্তান্তর এড়াতে ২০১২ সাল থেকেই লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রাশিয়ান টুডের জন্য তথ্যচিত্র নির্মাতা জন পিলগার সেখানেই অ্যাসাঞ্জের সাক্ষাৎকার নেন বলে ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। দেশটিতে উইকিলিকসের কার্যক্রম নিয়ে একটি অপরাধ তদন্তও চলমান।
সম্প্রতি হিলারির নির্বাচনি প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান জন পডেস্টারের কয়েক হাজার ইমেইল ফাঁস হয়। তাতে গোল্ডম্যান সাকসকে অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হিলারির বেশ কয়েকটি বক্তব্য এবং মধ্যপ্রাচ্য ও চীন-রাশিয়াকে নিয়ে তার আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশিত হয়। গত মাসে ওই সিরিজের প্রকাশিত একটি ইমেইলের দিকে ইঙ্গিত করেন অ্যাসাঞ্জ। ফাঁস হওয়া ইমেইলগুলোর মধ্যে এটিকেই ‘সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি। ২০১৪-র ১৭ অগাস্ট লেখা ওই ইমেইলে দেখা যায়, হিলারি বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করা পডেস্টাকে সৌদি ও কাতার প্রশাসনকে ‘চাপ’ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। ওই ইমেইলে বলা হয়, ‘কূটনৈতিক এবং চিরাচরিত গোয়েন্দা সম্পদ ব্যবহার করে সৌদি ও কাতার সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত, যারা আইএসআইএল ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য জঙ্গি সুন্নি ইসলামিক গোষ্ঠীকে চোরাগোপ্তা অর্থ ও রসদ সরবরাহ করে আসছে।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ