সমবায় দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছি চাষ উপযোগী জমি নষ্ট করে কারখানা নয়
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শনকে কাজে লাগিয়ে আমরা ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তারপরও বহুদূর যেতে হবে। আমাদের সরকারের নীতিই হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত করা। সমবায়কে বহুমুখী সমবায় হিসেবে গড়ে তোলা। দেশের উন্নয়ন করতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, তবেই হবে মূল উন্নয়ন।
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শনকে কাজে লাগিয়ে আমরা ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তারপরও বহুদূর যেতে হবে। আমাদের সরকারের নীতিই হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত করা। সমবায়কে বহুমুখী সমবায় হিসেবে গড়ে তোলা। দেশের উন্নয়ন করতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, তবেই হবে মূল উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমি নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে কারখানা নয়, চাষ উপযোগী জমি সংরক্ষণ করতে হবে, পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর শিল্প কারখানা হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এ জন্য আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪৫তম সমবায় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের বদলে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থার আওতায় কেউ ২০০ টাকা জমা দিলে তাকে আরও ২০০ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত দেয়া হবে। এর মধ্যদিয়ে প্রত্যেকে স্বাবলম্বী হবে। সমবায় দর্শনকে বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের দর্শন হিসেবে দেখেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হবে। এক্ষেত্রে সমবায়ের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কয়েকটি প্রকল্প নিয়েছি। এর একটি আশ্রয়ণ। এই প্রকল্পে যাদেরকে ঘরবাড়ি দিচ্ছি, তাদেরকে সমবায় করে দিচ্ছি, যাতে করে যৌথভাবে বসবাস ও যৌথভাবে চলাটা তারা শেখে। সমবায় সম্প্রসারণে বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নতুন আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে সমবায়ভিত্তিক একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ কোনো ভূমিকা রাখে না- উল্টো ক্ষতির কারণ হয়। মাইক্রোক্রেডিট নিয়ে ঋণের বোঝা নিয়ে মানুষকে আত্মহত্যা করতে হচ্ছে অথবা পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে অথবা ঘরবাড়ি, জমিজমা সব বিক্রি করে নিঃস্ব হতে হচ্ছে। এভাবে যাতে নিঃস্ব না হয় সেজন্য মাইক্রোক্রেডিটের বদলে মাইক্রোসেভিংসের দিকে যাচ্ছি আমরা।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি বাড়ি একটি প্রকল্পেও সমিতি করা হচ্ছে। সেখানে যারা থাকবেন, তাদেরকেও সরকার ঋণ দেবে। আর ঋণ নিয়ে উৎপাদন করে তারা যত সঞ্চয় করবে, দুই বছর পর্যন্ত সরকারও তাদেরকে তত টাকা দেবে। এই টাকা থাকবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে। পরে এই টাকা দিয়েই সে নিজের ব্যবসাটা চালিয়ে যাবে। এতে করে তাকে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং পাঁচ ব্যক্তির হাতে সমবায় পুরস্কার ২০১৪ তুলে দেয়া হয়। সম্পাদিত : শারমিন আজাদ