চালু হবে জুন ২০১৯ সালে ঘণ্টায় আসা-যাওয়া করতে পারবে ২৫ হাজার যাত্রী এয়ারপোর্ট-গাজীপুর বিআরটির কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই
দেলওয়ার হোসাইন: এয়ারপোর্ট-গাজীপুর রুটে বিশেষ পরিবহনব্যবস্থা বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) তৈরির কাজ চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক একিউএম ইকরাম উল্লাহ। প্রকল্প পরিচালক
ইকরাম উল্লাহ বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতি ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পারাপার সম্ভব হবে। বর্তমান সরকারের আমলেই (জুন ২০১৯ সালে) গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি রুট চালু করা হবে। এতে টঙ্গী ও উত্তরার সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত সহজতর হবে। দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে যাত্রী পারাপারের পাশাপাশি আরামদায়ক সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করাও অনেকাংশে সহজ হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ইকরাম উল্লাহ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর এই রুটে যাত্রীরা চলাচলের জন্য পাবে প্রতি ৩ মিনিটে একটি করে ১৪০ সিটের বাস। উভয় দিকে চলাচলের জন্য থাকবে ১০০টি বাস। সাড়ে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিআরটি রুটে থাকবে ২৫টি স্টেশন। নির্মাণ করা হবে ছয়টি ফ্লাইওভার। এছাড়াও উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেন থাকবে। বাকি প্রায় ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। বাস ভাড়া আদায় হবে ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট কার্ডে। সেতু নির্মাণ করা হবে ১টি (৮-লেইনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু), উন্নয়নের তালিকায় আছে ৮টি কাঁচাবাজার, সংযোগ সড়ক ১১৩টি এবং সাড়ে বিশ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে ফুটপাত। গাজীপুরে ১টি বাস ডিপোর নির্মাণকাজ বর্তমানে চলমান আছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি), গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় দুই হাজার চল্লিশ কোটি টাকা।
১৬ কিলোমিটার সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজের জন্য নভেম্বর ২০১৬ মাসেই চুক্তিপত্র হচ্ছে। এলিভেটেড অংশের কাজও দ্রুত শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর মতামতের জন্য গত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে এডিবি-তে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ অংশের কাজও আগামী মার্চ ২০১৬ মাসের মধ্যেই শুরু করা যাবে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট রুটে রাস্তার মাঝ বরাবর এ বাস চলাচল করবে। রাস্তার মাঝে প্রায় ২৪ ফুট লেন থাকবে। নির্মাণকাজের সময় যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য প্রকল্প এলাকায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে সড়ক প্রশস্ত করা হবে। উভয়দিকে চলাচলের জন্য দুই লেনবিশিষ্ট সড়ক মূল বিআরটি লেন থেকে পৃথক করে রাখা হবে। ফলে মূল রাস্তার যানবাহন এই রাস্তায় আসতে পারবে না। রাস্তায় মাঝ বরাবর এই রুটে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকায় বিআরটি যাত্রীদের কোনো যানজটে পড়তে হবে না। সম্পাদনা: আলাউদ্দিন