যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে বর্বর নির্যাতন স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
নুরুল আজিজ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাহেরা খাতুন সুমি (৩২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গরম খুন্তির ছ্যাঁকা আর রড দিয়ে পিটিয়ে ওই গৃহবধূকে মারাত্মক আহত করা হয়। রডের শক্ত আঘাতে মুখের বিভিন্ন স্থানও মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। গত ১ নভেম্বর তাহেরা খাতুন সুমিকে পুনরায় মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। ওই ঘটনায় তিনি সদর মডেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রোববার ওই মামলার শুনানি শেষে আদালতে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ রাসেল জানান, ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর পূর্ব মসিনাবন্দ এলাকার মৃত মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে তাহেরা খাতুন সুমি ও সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজীনগর সুমিলপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিম মেম্বারের ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময়ে ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র কিনে দেওয়া হয় শহিদুল ইসলামকে। কিছুদিন পর শহিদুল ইসলাম ফ্ল্যাট কিনার কথা বলে আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে যা না দিলে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তাহেরা খাতুন সুমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামী শহিদুল ইসলামসহ তার বোন সমলা বেগম, শিউলী আক্তার, হোসনে আরা আক্তার ও শিমু আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে তাহেরা খাতুন সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এমনকি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। দেওয়া হয় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে মামলার ধার্য তারিখ থাকায় নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের আদালত শুনানি শেষে অভিযুক্ত স্বামী মো. শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩১ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফতউল্লাহ জানান, ‘এ রকম ঘটনার খবর পেয়েছি। অনেক ওয়ারেন্ট আছে তা দেখে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।’ সম্পাদনা: সুমন ইসলাম