ইসমাঈল হুসাইন ইমু: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধ বন্ধে বিভিন্ন জায়গায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। আর এসব অপরাধ কর্মকা-ে জড়িতরাও ধরা পড়ছে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা অনিয়ম ও অপরাধ ঠেকাতে এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। তাছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি আনসার সদস্যরা পালাক্রমে ডিউটি করে থাকে। এর মধ্যেও যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় তা রোধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা দুপুর ২ টার পর বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালের ওয়ার্ড কেবিনে কোনো সমস্যা হলে ওয়ার্ড মাস্টাররা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আর হাসপতালের বাইরের বিষয় দেখার দায়িত্ব পুলিশের।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগের ক্যান্সার ডিপার্টমেন্টের স্টাফ কক্ষে গভীর রাতে এক তরুণীকে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢামেক হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসারের এপিসি একরামুলকে আগারগাঁও এবং আনসার সদস্য আমিনুল, আতিকুল, মীর সিরাজ, মিনহাজ ও বাবুলসহ ৫ জনকে আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকা জেলা অফিসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাগানের পাশে গাড়ি চালকদের রুম, পানির পাম্পের খালি রুম, বহির্বিভাগের পাশের ক্যান্সার ডিপার্টমেন্টের পাশের খালি রুমসহ বিভিন্ন জায়গায় মদ, জুয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চলে। এছাড়া সেখানে মুরগি ও ছাগলের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। আবার হাসপাতালের চারপাশে বকশীবাজার মোড়, চাঁনখারপুল, শহিদ মিনার, বাগানের ভেতরে ও রাস্তায়, মাজারের পাশে প্রকাশ্যে হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসা চলছে। হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও ফাঁড়ির পুলিশ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালের সুন্দর পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগ, আউটডোর, রন্ধনশালা, মেডিসিন ওয়ার্ড, স্টোর, গাইটি ও ওটিসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৬টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়। এরপর কিছু দিন বহিরাগত দালালদের উৎপাত, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মার্কেটিং প্রতিনিধিসহ অবাঞ্ছিত লোকজনের প্রবেশসহ ভাসমান পতিতাদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে আবারও এসব উৎপাত দেখা দিলে ৩২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরও অপরাধ না কমায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা:শারমিন আজাদ