ইসমাঈল হুসাইন ইমু: রাজধানীর কাফরুলের এক বাসা থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় কামরুজ্জামান নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী আটক হলেও এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। এছাড়া ৩৩টি মানব কঙ্কাল উদ্ধার করার ঘটনাটিতে কোনো অপরাধ দেখছে না পুলিশ।
ডিএমপির মিরপুর জোনের ডিসি মো. মাসুদ আহমেদ জানান, আটক কামরুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি এসব কঙ্কাল তার সিনিয়রদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। আর এসব কঙ্কাল তার জুনিয়রদের সরবরাহ করেন তিনি। বাইরে কারো কাছে বিক্রি বা ব্যবসার জন্য নয়। তিন রুম নিয়ে ইটখোলার ১৮৩/১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কামরুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার কয়েকজন সহপাঠীর নাম বলেছেন যারা তাকে এ কাজে সহযোগিতা করে থাকে। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এ কাজে কোনো অপরাধের কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান ডিসি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন জানান, নুরুজ্জামান নাম বলে বাড়িটি ভাড়া নিলেও পুলিশকে তিনি তার নাম বলেছেন কামরুজ্জামান। তবে তিনি পুলিশের ভাড়াটিয়া তথ্যফর্মে তার সব তথ্য পূরণ করেছিলেন। বাড়িওয়ালাকে তিনি মিটফোর্ডের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে কেন পরিচয় ভুল দিলেন এবং তার সঙ্গে আর কারা জড়িত সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে কাফরুলের ওই বাসা থেকে ৩৩টি মানব কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় কামরুজ্জামান, শাহিন ও রুবেল নামের তিনজনকে আটক করা হয়।