সাইদ রিপন: ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন, কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়ন, রোগ ও পোকামাকড় দমনসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে আগামী একনেক সভার বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা’র) প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হবে। তবে এর আগে এ প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধন করা হয়েছিল। প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধির জন্যই তৃতীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হবে।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় সংশোধনীর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৭.৭৪ কোটি টাকা। এখন যার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০.৫৫ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদন পেলে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে প্রকল্পটি।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে বংশগতি ধারায় স্থায়ী পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন, কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়ন, মশলার উন্নত জাত উদ্ভাবন, ফসলের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন, রোগ ও পোকামাকড় দমনসহ নতুন নতুন প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারবে।
এ কর্মকর্তা বলেন, বিনার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে কৃষির উন্নয়ন হবে। এবং মাঠপর্যায়ে আমাদের গবেষণা কেন্দ্রগুলো আরও আধুনিক হবে।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এ প্রকল্পের সাথে অন্য কিছু স্থাপনা যুক্ত করায় ব্যয় বৃদ্ধিতে এ প্রকল্পটি ২০১০ সাল থেকে দ্বিতীয় সংশোধনের পরেও এখন পর্যন্ত অর্থের অভাবে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়নি।
তিনি বলেন, যদি এ প্রকল্পটি তৃতীয় সংশোধন করা হয় তাহলে ২০১৭ সালের জুন মাসেই এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২৫ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি তুলে বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত আরডিপিপির সংস্থান বহির্ভূত কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা পুনর্গঠিত আরডিপিপিতে সংযুক্ত করার বিষয়ে পিইসি সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
সম্পাদনা: শারমিন আজাদ