আজাদ হোসেন সুমন ও সুজন কৈরী: পুলিশ বাহিনীতে দিন দিন লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হচ্ছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি বাহিনীতে যোগ হচ্ছে নিত্য নতুন ইউনিট। তারই ধারাবাহিকতায় নৌ পুলিশের পর এবার যোগ হচ্ছে নৌ ফাঁড়ি। নৌ ডাকাতি, পাচার, জলদস্যুতা ও নদী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে ১৯টি নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও ব্যারাক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেসব জেলায় পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ করা হবে সেগুলো হলো-বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর বাউফল, বরগুনার পাথরঘাটা, চাঁদপুরের সদর ও মতলব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, মাদারীপুরের রাজৈর, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও আড়াইহাজার, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও লাখাই, বাগেরহাটের শরণখোলা ও মংলা, খুলনার কয়রা ও দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে যৌথভাবে বাংলাদেশ পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদী এলাকায় ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকা- দমন ও প্রতিরোধসহ নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম ইউনিট হলো নৌপুলিশ। কিন্তু নৌপুলিশের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত দাপ্তরিক সুযোগ- সুবিধা, ইকুইপমেন্টসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। ফলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা, জানমাল রক্ষার্থে প্রস্তাবিত ১৯টি নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুরানো অবকাঠামো বাদ দিয়ে নতুন অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পুলিশ এবং গণপূর্ত অধিদফতর বাস্তবায়নের জন্য ১৯টি নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও ব্যারাক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) হুমায়ুন কবীর বলেন, সরকার দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আন্তরিক। ফলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পর্যায়ক্রমে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জলদস্যুতা ও নৌ পথের অপরাধরোধে এই পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণের উদ্যোগে তিনি আরও বলেন, ফটাড়িগুলো আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে নির্মাু করা হচ্ছে। আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, ফটোকপিয়ার, পেট্রোল বোট থাকবে যাতে কোনো সন্দেহভাজন নৌযানকে তাড়া করে দ্রুত গ্রেফতার করা যায়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম