৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নতুন কার্য নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবগুলো বিভাগীয় শহর এবং জেলা-উপজেলায় সফর করবে কমিটি। আগামী মাস থেকে এই সফর শুরু করবে কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৮ নভেম্বর নতুন কমিটির প্রথম সভা থেকে এব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মতো ইতোমধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকরা বিভাগীয় সফর শুরু করেছেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের গ্রাম পর্যায়ে গৃহহীন, হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এটিকে দলের নিয়মতান্ত্রিক সফর বলেই দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। দলের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, এটাই সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ। তারা জানান, দায়িত্ব পাওয়ার দু-এক দিনের মধ্যেই অনেকে এলাকায় গিয়েছেন। হাতে নিতে যাচ্ছেন, বিভাগ ও জেলা নেতাদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০তম সম্মেলনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যই তৃণমূলের কাছে নিয়ে যাবে কাউন্সিলের নতুন নেতৃত্ব। দরিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে তৃণমূলের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে এই সফর। এই সফরে প্রাধান্য পাবে হতদরিদ্র , প্রতিবন্ধী, গৃহহীন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের তালিকা প্রণয়ন।
স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক উন্নয়ন এই সফরের আরেকটি বড় লক্ষ্য। এই সময় কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরবে, বিএনপির বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ছবি, তথ্য এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র তুলে ধরবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সন্ত্রাস মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ এই বার্তা তৃণমূলে নিয়ে যাবে এই এ সফরের মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এই প্রতিবেদককে বলেছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই এই সফরের রূপরেখা ঠিক করা হবে। এই সব কিছুর মূলে রয়েছে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিগত ৭ বছরে দল ক্ষমতায় থাকায় যেভাবে দলের সাংগঠনিক চেইন অফ কমা- নষ্ট হয়েছে এবং তৃণমূলে দলের রাজনৈতিক কর্মকা- স্থবির হয়ে গেছে তার পূনরুদ্ধারেই নামছে কমিটি। এসব নেতারা আরও বলেছেন, গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার পরিকল্পনা নির্বাচনীয় ইশতেহার আগাম বাস্তবায়নেরই অংশ। এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন হলে আগামী নির্বাচনে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের সমর্থন নিশ্চিত হয়ে যাবে দলটির জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরু থেকেই বলেছি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া জনসংযোগ করবো। খুই শিগগিরই সফর শুরু হবে। তাছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকরা এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর বার্তা জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের পৌঁছে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ এই প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচিত নতুন কমিটি সারাদেশ সফর করবে। ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি তুলে ধরবে তৃণমূলের মানুষের কাছে। নেত্রী ( শেখ হাসিনা) চান ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াবে। এই কমিটির লক্ষ্যই হবে আগামী নির্বাচনে দলকে জয়ী করা।’ সম্পাদিত: শারমিন আজাদ