সুজন কৈরী: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক পরিচ্ছন্নকর্মীর ছুরিকাঘাতে সোহাগ আলী (৩০) নামে এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ওই পরিচ্ছন্নকর্মী এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সোহাগের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন- এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের ক্রাইম রেসপঞ্জ টিমের (সিআরটি) কনস্টেবল ইশতিয়াক ও আশিক এবং আনসার সস্য জিয়াউর রহমান। হামলাকারী শিহাবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও আনসার সদস্য জিয়াউরকে সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আজম মিয়া জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ধারালো ছুরি নিয়ে বিমানবন্দরের তিন নম্বর গেটের সামনে দিয়ে ঢোকার চেষ্টার সময় এক যুবককে বাধা দেয় দায়িত্বরত এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করতে করতে গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর চার সদস্য আহত হন। ওসি আরও জানান, ওই যুবককে থামাতে গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে নিবৃত্ত হওয়ার পর ওই যুবককে আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটক যুবক একবার বলছে, তার নাম শিহাব, আবার অন্য নাম বলছে। একেক সময় একেক নাম বলছে। প্রকৃত তথ্য জানতে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
ডিএমপির বিমানবন্দর জোনের এসি রুহুল আমিন সাগর বলেন, পূর্ব-শত্রুতা ও লেনদেন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। একপক্ষ টাকা না দিয়ে বিদেশ যাচ্ছিল বলে অন্যপক্ষ তাদের বিমানবন্দরে আটকায়। বিমানবন্দরের বহির্গমনের ৩ নম্বর গেটে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এমন সময় একপক্ষের লোকজন অন্যপক্ষের ব্যক্তিদের ছুরিকাঘাত করেন। এতে উভয় পক্ষের দুজন করে মোট চারজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। হামলাকারীসহ আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এপিবিএন-এর সহকারী কমিশনার তানজীলা আক্তার জানান, হামলাকারী যুবক বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা এ কে ট্রেডার্সের হলুদ গেঞ্জি পরে ঢুকলেও তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির কর্মী নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতারণার মাধ্যমে সে ওই গেঞ্জি সংগ্রহ করে থাকতে পারে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম