গ্যাস সংকটে লক্ষ্মীপুর, দুর্ভোগ চরমে
জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, লক্ষ্মীপুর : গ্যাস সংকটে পড়েছে লক্ষ্মীপুর শহর। পাইপ লাইনে থাকছেনা গ্যাস। এতে করে বাসা-বাড়িতে রান্না-বান্না, শিল্প কারখানা ও গ্যাসের ফিলিং স্টেশনগুলোতে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।ইতিপূর্বে গ্যাস সংকটে মানববন্ধনসহ আন্দোলনে রাস্তায় নেমে পড়েন গৃহিণীরা।
জানা যায়, এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ৭০টি, আবাসিক ৬ হাজার ৭শ’, সিএনজি স্টেশন ২টি, ক্যাপ্টিভ পাওয়ার ২টিতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর শহরের হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, গত একমাস থেকে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময়ে লাইনে গ্যাস থাকে না। রাত ১০/১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তা থাকে। কিন্তু এ সময়ে গ্যাসের চাপ কম থাকায় হোটেলের রান্না-বান্না করা সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে লাকড়ি দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করা হচ্ছে।
হ্যাপী সিনেমা হল রোডের গৃহিনী জান্নাত জানান, প্রয়োজনের সময় লাইনে গ্যাস থাকে না। কিন্তু গ্যাস বিল দিতে হচ্ছে। ঠিকমত খাবার রান্না করতে পারছে না পরিবারের লোকজন। বিসিক শিল্পনগরী বেকারির মালিকরা জানান, গত এক মাস ধরে গ্যাস সংকটের কারণে তাদের চাহিদা মতো কারখানায় উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এ কারখানায় ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন জবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাসের শেষে গ্যাস বিল পরিশোধ করা হলেও অনেক সময় গ্যাস না পাওয়ার যন্ত্রণায় দিশেহারা হতে হয়। আন্দোলন সংগ্রামের পর কিছুদিন গ্যাস সরবরাহ ভাল থাকলেও আবারো তা সংকটের চরম আকার ধারণ করে। এই সমস্যা কবে দূর হবে আল্লাহপাক ভালো জানেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কবির বাড়ির দরজায় গ্যাস পাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫ শতাধিক সিএনজি অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন। কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, গ্যাসের জন্য এসে ফিলিং স্টেশনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া গ্যাস লাইনে প্রেসার না থাকায় অর্ধেক গ্যাস নিয়ে স্টেশন ছাড়তে হয়। এতে ভাড়া গাড়ির মালিকদের গাড়ি জমা দেয়ার পরে তাদের আর কিছুই থাকে না। এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড লক্ষ্মীপুর শাখার ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন জানান, ফেনী থেকে গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় গত তিন দিন যাবত গ্রাহকরা যথাসময়ে গ্যাস পাচ্ছে না। প্রয়োজন মতো গ্যাস উত্তোলন করা হলে এ সমস্যা থাকবে না। সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কখন এ সমস্যা দূর হবে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা। সম্পাদনা : মুরাদ